০২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এপ্রিলে ফের হকার অভিযান, দেওয়া হবে ভেন্ডিং সার্টিফিকেট

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 31

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে পুরসভার হকার অভিযান। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ভেন্ডিং সার্টিফিকেটও। কলকাতা পুরসভার টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাস্তায় বসে যে সব হকার ব্যবসা করছেন, তাঁদের আবার সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কলকাতা পুরসভা হকার অভিযান শুরু করবে। কলকাতা শহরের রাস্তায় বসে আর হকারি করতে দেওয়া হবে না বলে সূত্রের খবর। রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতের অংশে উঠে না-গেলে আর কোনও ভাবেই রাস্তায় হকার বসতে দেওয়া হবে না। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযানে নামতে চায় কলকাতা পুরসভা। মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট, চাঁদনি মার্কেট, বিধান মার্কেট-সহ ধর্মতলা এলাকায় ধারাবাহিকভাবে পুরসভা অভিযান চালাবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার রাস্তাঘাট সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযুক্ত করতে এই উদ্যোগ।

হকারদের ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার কাজও শুরু হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। আপাতত ৮ হাজার ৭২৭ জন হকারকে এই শংসাপত্র দেওয়া হবে। প্রথম দফার সমীক্ষায় প্রায় ১৪ হাজারের বেশি হকারের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ৮ হাজার ৭২৭ জনকে এই শংসাপত্র দেওয়ার কথা। এই শংসাপত্র দিতে ‘এক জানালা নীতি’র ব্যবহার করতে চান পুরসভার আধিকারিকেরা। কোনও রকম হয়রানি ছাড়াই হকারেরা এই শংসাপত্র সংগ্রহ করতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। শংসাপত্র পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত হল পুরসভার যাবতীয় নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট হকারকে চলতে হবে। তাহলেই শংসাপত্রের পাশাপাশি পুরসভা থেকেও সহযোগিতা পেতে পারবেন হকাররা।

গত বছর লোকসভা ভোটের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে এক বৈঠক ডাকেন। রাস্তার যত্র-তত্র হকার বসা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এরপরে কলকাতা পুরসভা-সহ হকার সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিয়ে নবান্ন এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হকারনীতি তৈরি করতে একটি সমীক্ষাও চালিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সমীক্ষার ভিত্তিতে ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এপ্রিলে ফের হকার অভিযান, দেওয়া হবে ভেন্ডিং সার্টিফিকেট

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে পুরসভার হকার অভিযান। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ভেন্ডিং সার্টিফিকেটও। কলকাতা পুরসভার টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাস্তায় বসে যে সব হকার ব্যবসা করছেন, তাঁদের আবার সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কলকাতা পুরসভা হকার অভিযান শুরু করবে। কলকাতা শহরের রাস্তায় বসে আর হকারি করতে দেওয়া হবে না বলে সূত্রের খবর। রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতের অংশে উঠে না-গেলে আর কোনও ভাবেই রাস্তায় হকার বসতে দেওয়া হবে না। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযানে নামতে চায় কলকাতা পুরসভা। মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট, চাঁদনি মার্কেট, বিধান মার্কেট-সহ ধর্মতলা এলাকায় ধারাবাহিকভাবে পুরসভা অভিযান চালাবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার রাস্তাঘাট সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযুক্ত করতে এই উদ্যোগ।

হকারদের ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার কাজও শুরু হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। আপাতত ৮ হাজার ৭২৭ জন হকারকে এই শংসাপত্র দেওয়া হবে। প্রথম দফার সমীক্ষায় প্রায় ১৪ হাজারের বেশি হকারের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ৮ হাজার ৭২৭ জনকে এই শংসাপত্র দেওয়ার কথা। এই শংসাপত্র দিতে ‘এক জানালা নীতি’র ব্যবহার করতে চান পুরসভার আধিকারিকেরা। কোনও রকম হয়রানি ছাড়াই হকারেরা এই শংসাপত্র সংগ্রহ করতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। শংসাপত্র পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত হল পুরসভার যাবতীয় নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট হকারকে চলতে হবে। তাহলেই শংসাপত্রের পাশাপাশি পুরসভা থেকেও সহযোগিতা পেতে পারবেন হকাররা।

গত বছর লোকসভা ভোটের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে এক বৈঠক ডাকেন। রাস্তার যত্র-তত্র হকার বসা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এরপরে কলকাতা পুরসভা-সহ হকার সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিয়ে নবান্ন এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হকারনীতি তৈরি করতে একটি সমীক্ষাও চালিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সমীক্ষার ভিত্তিতে ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।