মুম্বই : তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রমযান মাসে মুসলিম সরকারি কর্মচারীদের তাড়াতাড়ি অফিস ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার পর, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাজ্যেও একই রকম দাবি উঠেছে। মহারাষ্ট্র সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান পিয়ার খান বলেছন যে কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে মুসলিম কর্মচারীদের রমযান মাসে এক ঘন্টা আগে অফিস ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য একাধিক আবেদন পেয়েছে। পিয়ার খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রমযান মাসে এক ঘন্টা আগে অফিস ছাড়ার অনুমতি চেয়ে আমরা বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অনুরোধ পেয়েছি। ভারত ‘গঙ্গা যমুনা তেহজিবের’ একটি দুর্দান্ত উদাহরণ, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা একসাথে সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করে।’ তিনি আরও বলেন যে, তিনি একটি সরকারি চিঠির মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে এই দাবিটি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন।
তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের জারি করা আদেশের প্রেক্ষিতে এই দাবি জানানো হয়েছে, যেখানে শিক্ষক ও ঠিকাদার কর্মীসহ মুসলিম কর্মচারীদের ২ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বিকাল ৫টার পরিবর্তে বিকেল ৪টায় কাজ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকার এতদ্বারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী সকল কর্মচারী, যাদের মধ্যে শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক, আউটসোর্সিং ভিত্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তি এবং গ্রাম/ওয়ার্ড সচিবরাও রয়েছেন, পবিত্র রমযান মাসে সকল কর্মদিবসে প্রয়োজনীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য তাদের অফিস/স্কুল বন্ধের এক ঘন্টা আগে ত্যাগ করার অনুমতি দিচ্ছে।’ একইভাবে, তেলেঙ্গানা সরকারের আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকার এতদ্বারা রাজ্যে কর্মরত সমস্ত মুসলিম সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক, আউটসোর্সিং, বোর্ড, কর্পোরেশন এবং সরকারি খাতের কর্মচারীদের পবিত্র রমজান মাসে, অর্থাৎ ২ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিকাল ৪টায় তাদের অফিস, স্কুল ত্যাগ করার অনুমতি দিচ্ছে, যদি না তাদের জরুরি প্রয়োজনে তাদের উপস্থিতি প্রয়োজন হয়।’
কর্ণাটকেও এই দাবি জোরালো হচ্ছে, যেখানে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (কেপিসিসি) সহ-সভাপতি এম.আর.এম. হুসেন এবং সৈয়দ আহমেদ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি লিখে রাজ্য সরকারের কাছে মুসলিম কর্মচারীদের নামায ও ইফতারের সুবিধার্থে এক ঘন্টার জন্য কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, কর্ণাটক সরকার এখনও এই অনুরোধের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।