২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীরে ১০ টি লক্ষণ দেখায় যে, মস্তিষ্কে টিউমার তৈরি হতে শুরু করেছে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
  • / 6

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মস্তিষ্ক মানুষের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এই অংশটির একটু এদিক ওদিক হলেই সমস্যার শেষ থাকে না। তাই প্রতিটি মানুষকে নিজের শরীরের এই বিশেষ অঙ্গের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। আর যদি নিজের মস্তিষ্কের এমন কিছু লক্ষণ এড়িয়ে যান, যা কিনা বড়সড় সমস্যার কারণ হতে পারে, তবে সমস্যার শেষ থাকবে না। ব্রেন টিউমারও এমন একটি রোগ। এক্ষেত্রে শরীরের এই ১০ টি লক্ষণ দেখায় যে মস্তিষ্কে টিউমার হতে শুরু হয়েছে এবং জেনে নিন কার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। ব্রেন টিউমারের এই ১০ টি উপসর্গকে মোটেও হালকাভাবে নেবেন না। ব্রেন টিউমার সম্পর্কে সতর্ক হয়ে যেতে হবে এখনই ।

 

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ:

 

মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ব্রেন টিউমারের সাধারণ লক্ষণ। এই কারণেই এই লক্ষণগুলিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

 

কোনও কোনও সময় দেখা যায় মাথাব্যথা চলতেই থাকছে, বারবার হচ্ছে কিংবা থেমে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মাথা যন্ত্রণার চরিত্র যদি হঠাৎ করে পরিবর্তিত হয় এবং তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাহলে সতর্কতার প্রয়োজন আছে।

 

ব্রেন টিউমার কখন লক্ষণ দেখাতে শুরু করে?

 

ব্রেন টিউমার দুটি কারণে উপসর্গ সৃষ্টি করে। ক্যানসার রিসার্চ ইউকে-এর মতে, টিউমার বড় হতে থাকলে উপসর্গগুলি দেখা যায়। এক্ষেত্রে টিউমার বড় হলে খুলির ভিতরে জায়গা কমতে থাকে। তাই লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে দেয়। যদিও ব্রেন টিউমারের একদম প্রথমে কোনও অসুবিধা থাকে না বললেই চলে। তবে টিউমার বৃদ্ধি বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্নরকম হতে পারে এবং কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। এটি কত দ্রুত মেটাস্টেসাইজ করে তার উপর নির্ভর করে।

 

ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি কাদের বেশি?

 

কার ব্রেন টিউমার হতে পারে এবং কার না হতে পারে তা অনুমান করার কোন উপায় নেই। তবে কিছু ঝুঁকির কারণ রয়েছে। বারংবার রেডিয়েশন অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিকিরণের সংস্পর্শে আসার ফলে ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। পেশাগত কারণে কাজের জায়গার পরিবেশে বিকিরণকারী রশ্মির উপস্থিতির ফলে অথবা ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি জাতীয় চিকিৎসার প্রভাবেও এই ঝুঁকি বাড়তে পারে। আরেকটি কারণ হতে পারে ব্রেইন টিউমারের পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ পরিবারের কোনো সদস্যের ব্রেন টিউমার থাকলে।

 

এছাড়াও ব্রেন টিউমারের এই লক্ষণগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না।

 

১. মাথা ব্যথা। ব্যথাটা কমতে চায় না।

২. বমি হয়ে যাওয়া বা বমি বমি ভাব।

৩. চোখে আবছা দেখা।

৪. জোড়া জিনিস দেখা।

৫. হাত-পা নাড়াতে কষ্ট হয়।

৬. শরীরের ভারসাম্য রাখতে কষ্ট হয়।

৭. কথা বলতে সমস্যা হয়।

৮. ক্লান্ত লাগতে পারে।

৯. অবসাদ আসা সম্ভব।

১০. কিছু জিনিস ভুলে যাওয়া।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শরীরে ১০ টি লক্ষণ দেখায় যে, মস্তিষ্কে টিউমার তৈরি হতে শুরু করেছে

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মস্তিষ্ক মানুষের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এই অংশটির একটু এদিক ওদিক হলেই সমস্যার শেষ থাকে না। তাই প্রতিটি মানুষকে নিজের শরীরের এই বিশেষ অঙ্গের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। আর যদি নিজের মস্তিষ্কের এমন কিছু লক্ষণ এড়িয়ে যান, যা কিনা বড়সড় সমস্যার কারণ হতে পারে, তবে সমস্যার শেষ থাকবে না। ব্রেন টিউমারও এমন একটি রোগ। এক্ষেত্রে শরীরের এই ১০ টি লক্ষণ দেখায় যে মস্তিষ্কে টিউমার হতে শুরু হয়েছে এবং জেনে নিন কার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। ব্রেন টিউমারের এই ১০ টি উপসর্গকে মোটেও হালকাভাবে নেবেন না। ব্রেন টিউমার সম্পর্কে সতর্ক হয়ে যেতে হবে এখনই ।

 

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ:

 

মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ব্রেন টিউমারের সাধারণ লক্ষণ। এই কারণেই এই লক্ষণগুলিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

 

কোনও কোনও সময় দেখা যায় মাথাব্যথা চলতেই থাকছে, বারবার হচ্ছে কিংবা থেমে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মাথা যন্ত্রণার চরিত্র যদি হঠাৎ করে পরিবর্তিত হয় এবং তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাহলে সতর্কতার প্রয়োজন আছে।

 

ব্রেন টিউমার কখন লক্ষণ দেখাতে শুরু করে?

 

ব্রেন টিউমার দুটি কারণে উপসর্গ সৃষ্টি করে। ক্যানসার রিসার্চ ইউকে-এর মতে, টিউমার বড় হতে থাকলে উপসর্গগুলি দেখা যায়। এক্ষেত্রে টিউমার বড় হলে খুলির ভিতরে জায়গা কমতে থাকে। তাই লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে দেয়। যদিও ব্রেন টিউমারের একদম প্রথমে কোনও অসুবিধা থাকে না বললেই চলে। তবে টিউমার বৃদ্ধি বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্নরকম হতে পারে এবং কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। এটি কত দ্রুত মেটাস্টেসাইজ করে তার উপর নির্ভর করে।

 

ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি কাদের বেশি?

 

কার ব্রেন টিউমার হতে পারে এবং কার না হতে পারে তা অনুমান করার কোন উপায় নেই। তবে কিছু ঝুঁকির কারণ রয়েছে। বারংবার রেডিয়েশন অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিকিরণের সংস্পর্শে আসার ফলে ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। পেশাগত কারণে কাজের জায়গার পরিবেশে বিকিরণকারী রশ্মির উপস্থিতির ফলে অথবা ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি জাতীয় চিকিৎসার প্রভাবেও এই ঝুঁকি বাড়তে পারে। আরেকটি কারণ হতে পারে ব্রেইন টিউমারের পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ পরিবারের কোনো সদস্যের ব্রেন টিউমার থাকলে।

 

এছাড়াও ব্রেন টিউমারের এই লক্ষণগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না।

 

১. মাথা ব্যথা। ব্যথাটা কমতে চায় না।

২. বমি হয়ে যাওয়া বা বমি বমি ভাব।

৩. চোখে আবছা দেখা।

৪. জোড়া জিনিস দেখা।

৫. হাত-পা নাড়াতে কষ্ট হয়।

৬. শরীরের ভারসাম্য রাখতে কষ্ট হয়।

৭. কথা বলতে সমস্যা হয়।

৮. ক্লান্ত লাগতে পারে।

৯. অবসাদ আসা সম্ভব।

১০. কিছু জিনিস ভুলে যাওয়া।