উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : এবার বাঘের লোকালয়ে আসার গতিবিধি বুঝতে এবার কুলতলির মৈপীঠ থেকে দেউলবাড়ি পর্যন্ত ১০০ ট্র্যাপ ক্যামেরা বসাচ্ছে বন দফতর।গত ১৫ দিনে সাতবার বাঘ হানা দিয়েছে কুলতলির মৈপীঠে।আর তাই আতঙ্ক চেপে বসেছে গ্রামবাসীদের মনে। মূলত, মৈপীঠ বৈকুণ্ঠপুর পঞ্চায়েত ও গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েত এলাকায় লোকালয়ের মধ্যে চলে এসেছিল বাঘ।বাঘ বেরিয়েছিল আজমলমারি ১ও আজমলমারি ১১ নং জঙ্গল থেকে।আর তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন বিভাগ বাঘের গতিবিধি জানতে ও ক’টি বাঘ লোকালয়ে ঢুকছে,সেই সংখ্যা জানতে নতুন করে কুলতলির মৈপীঠের কিশোরী মোহনপুর থেকে কুলতলির দেউলবাড়ি দেবীপুর পর্যন্ত জঙ্গলে ১০০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করছে।উল্লেখ্য,প্রসঙ্গত, মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট এলাকায় বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ার পরেও নতুন করে আবার বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায় বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক (ডি এফ ও) নিশা গোস্বামী বলেন, গ্রাম সংলগ্ন আজমলমারি ১, ২, ৩, ১১, ১২ নং ও হেরোভাঙা ৯ নং জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে।পাশাপাশি,জঙ্গলে সেন্সার সিগন্যাল আলো লাগানো হবে। জাল থেকে পাঁচ ফুট উপরে লাল, নীল, সবুজ রঙের আলো থাকবে। এমন করে বসানো হবে যাতে আলো বাঘের চোখে পড়ে।এতে বাঘ আলো দেখেই ফিরে যাবে।আর ওই আলো সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত জ্বালানো হবে।মৈপীঠে ঘনঘন বাঘের আগমনের কারণে মৈপীঠের বিনোদপুরে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভা ডাকা হয়েছিল। এতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক নিশা গোস্বামী, অতিরিক্ত আধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী,কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য,মৈপীঠ থানার ওসি শান্তুনু বিশ্বাস, কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির বন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সাহাদাত শেখ, তিনটি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান, সদস্য, টাইগার টিমের সদস্যদরা উপস্থিত ছিলেন।এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়, জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তায় পশুদের মৃতদেহ আর ফেলা যাবে না। এ নিয়ে তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার চালানো হবে। প্রতি মাসে জাল পরীক্ষা করবে বন দপ্তর।এদিন কয়েকদিন আগে কুলতলির মৃত মৎস্যজীবী বর্ণধর মণ্ডলের স্ত্রী কল্পনা মণ্ডলের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয় বনদপ্তর।তবে বন দফতরের দেওয়া এই সরকারি ক্ষতিপূরণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দীর্ঘদিন এই এলাকার মানুষদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করা সংগঠনের জেলার সহ সম্পাদক মিঠুন মন্ডল।তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, সরকারি তরফে ক্ষতি পূরনের টাকা দিলেও মৃতের পরিবারের সরকারি চাকরি ও সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।