রাঁধুনি দলিত, গুজরাতে একটি প্রাথমিক স্কুলে খাবার খেল না ১৫০ জন পড়ুয়া

- আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার
- / 8
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রাঁধুনি দলিত। তাই স্কুলের মিড ডে মিল খেতে অস্বীকার করল প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গুজরাতের মোরবি জেলার একটি গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, জুনের ১৬ তারিখ থেকে ওই স্কুলে নতুন রাঁধুনি হিসেবে কাজে যোগ দেন এক দলিত মহিলা। রান্নার তদারকিতে আছেন ওই দলিত মহিলার স্বামী।
জানা গেছে, দলিত হওয়ার জন্য মিড ডে মিলের খাওয়ার খেতে অনীহা প্রকাশ করছে ওই স্কুলের পড়ুয়া। প্রথমের দিকে বেশ কয়েক পড়ুয়া মিড ডে মিল খেলেও, পরে সেই সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
সূত্রের খবর, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা স্কুল পরিদর্শনে আসেন। এই প্রসঙ্গে দায়িত্বে থাকা রাঁধুনি জানান, আমরা দলিত বলে আমাদের হাতে কেউ খেতে চায় না। এই স্কুলে প্রায় ১৫৩ জন পড়ুয়া রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪৭ জন কলি, ভরওয়াদ, ঠাকুর এবং গাধভির মতো ওবিসি সম্প্রদায়ের। তারাই মিড-ডে মিল খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বাকি ৬ জন দলিত সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা খাওয়ার খাচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে রাঁধুনির স্বামী গোপী মাকওয়ানা বলেন, কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন তাঁদের সন্তানদের দলিত মহিলার রান্না করা খাবার খেতে দিতে পারবেন না। তিনি আরও জানান, ছুটির পর প্রথম দিন তাদের ১০০ জন পড়ুয়ার খাবার রান্না করতে বললেও, খেতে এসেছে গুটি কয়েক পড়ুয়া, অন্যদিকে দ্বিতীয় দিনেও একই অবস্থা ছিল।
তবে গ্রামের প্রধান এই কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, মিড-ডে মিলের চেয়ে পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে আনা টিফিন বেশি পছন্দ করছেন। তাই তারা খাচ্ছে না। এমনকি প্রথম থেকেই এই স্কুলের পড়ুয়ারা সেই ভাবে মিড ডে মিল খাই না। এই বিষয়ের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্কও নেই।
তবে স্কুলের অধ্যক্ষ বিন্দিয়া রত্নোতার জানিয়েছেন এই ঘটনাটি সত্যি। তবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে অভিভাবকরা সিদ্ধান্তে অনড়।
মোরবির ইনচার্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক (ডিপিইও) ভারত বিদজা এই প্রসঙ্গে বলেন, জেলা কালেক্টর স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে।