শুরু হয়নি ২০২৩ হজের আবেদন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর পোস্ট থেকে বিরত থাকতে বলল রাজ্য হজ কমিটি

- আপডেট : ২৫ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার
- / 6
আবদুল ওদুদঃ ২০২৩ সালের পবিত্র হজ নিয়ে এখনও নির্দেশিকা জারি করেনি কেন্দ্রীয় হজ কমিটি। ফলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়û, দেশের ইচ্ছুক হজযাত্রীরা দ্বিধায় রয়েছেন। কবে থেকে হজের আবেদন শুরু হবে? এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ইচ্ছুক হজযাত্রীদের বার্তা দিতে পাশে দাঁড়াল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটি।
মঙ্গলবার পার্ক সার্কাস হজ হাউসে রাজ্য হজ কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন, হজ কমিটির চেয়ারম্যান নাদিমুল হক, রাজ্য হজ কমিটির চিফ অ্যাডভাইজার হাজী নুরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী আধিকারিক মুহাম্মদ নকি।
এ দিন চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ২০২৩-এর হজের আবেদন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই ইচ্ছুক হজযাত্রীদের কাছে আবেদন তাঁরা যেন কারোও প্ররোচনায় পা না দেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় হজ কমিটি এবং সউদি হজ মন্ত্রকের সঙ্গে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই হজের আবেদন এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।
সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় এ বছরও অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে ওয়েবসাহট রয়েছে, তাতে এখনও আবেদনের প্রসেসের কাজ শুরু হয়নি। শুধু তাই নয় ওই অপশনটি কম্পিউটাকরে খুলছে না। কাজেই কে বা কারা এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা হবে বলে তিনি জানান।
হজের আবেদন শুরু হলে রাজ্য হজ কমিটি সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কাজেই অযথা বিভ্রান্ত হবেন না। তবে তিনি বলেন,আশা করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সবটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সিদ্ধান্তের উপর।
এ বছর হজের খরচ কমছে কি?এ বিষয়ে হজ কমিটির চেয়ারম্যান নাদিমুল হক বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে সউদি হজ মন্ত্রক ৩০ শতাংশ হজের ‘রচ কমিয়েছে। কিন্তু সেটা কত হবে চূড়ান্ত বৈঠকের আগে বলা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় হজ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানালে তবেই বোঝা যাবে হজের ‘রচ কত কমতে পারে।
হজ কমিটির চিফ অ্যাডভাইজার হাজী নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাইছি হজের দ্রুত আবেদন শুরু হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় হজ কমিটি কোনও নির্দেশিকা দিচ্ছে না। মার্চের শেষ দিকেই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমযান। আর ত’ন থেকেই হজের কাজকর্ম শুরু হয়ে যাবে।
এই অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে কাজ সম্ভব? এ প্রসঙ্গে হাজী নুরুল বলেন, রাজ্য হজ কমিটি বেশ কিছু কাজ ঠিক করে রেখেছে। হজের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলেই অন্যান্য কাজগুলিও শুরু হয়ে যাবে। তবে তিনি এও বলেন, যাঁরা স্থির করেছেন ২০২৩-এ হজ সম্পন্ন করবেন তাঁরা যেন পাসপোর্ট তৈরির কাজটি সম্পন্ন করে রাখেন। পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে। পাসপোর্ট তৈরি থাকলে দ্রুত আবেদন করতে পারবেন।
রাজ্য হজ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হজ কমিটির সদস্য ফিরোজা বেগম, সেখ মুহাম্মদ হামিদ হোসেন, মুহাম্মদ কামরুল হুদা, হুমায়ুন আলি মির্জা, সুফিয়ান, বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, সেখ ফজলুর রহমা, রাকিবুল আজিজ, সামিমা রেহান খান প্রমুখ।