১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে মায়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল   

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 13

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি দেখতে মায়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে রাখাইন স্টেটের মংডু টাউনশিপ থেকে স্পিডবোটে করে তারা টেকনাফ ঘাটে এসে পৌঁছায়। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।

বার্মিজ প্রতিনিধিদলের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে মায়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা রাখাইন এস্টেটের মংডু থেকে টেকনাফে এসেছে।

টেকনাফে মায়ানমারের প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি মায়ানমারের প্রতিনিধি দল স্বদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। মায়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথাও আছে তাদের।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, প্রথম দিকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় ১ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে তারা। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ’খানেক রোহিঙ্গা আছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে মায়ানমারকে ৮ লক্ষ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল।

তালিকা যাচাই শেষে ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল মায়ানমার। উল্লেখ্য, মায়ানমার ফেলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালানোর তিন মাসের মাথায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রত্যাবাসন বিষয়ে মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সই হলেও গত প্রায় ছয় বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনও অগ্রগতি হয়নি। পরে চিনের মধ্যস্থতায় ২০১৯ সালে আবারও প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশে মায়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল   

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি দেখতে মায়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে রাখাইন স্টেটের মংডু টাউনশিপ থেকে স্পিডবোটে করে তারা টেকনাফ ঘাটে এসে পৌঁছায়। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।

বার্মিজ প্রতিনিধিদলের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে মায়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা রাখাইন এস্টেটের মংডু থেকে টেকনাফে এসেছে।

টেকনাফে মায়ানমারের প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি মায়ানমারের প্রতিনিধি দল স্বদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। মায়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথাও আছে তাদের।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, প্রথম দিকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় ১ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে তারা। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ’খানেক রোহিঙ্গা আছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে মায়ানমারকে ৮ লক্ষ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল।

তালিকা যাচাই শেষে ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল মায়ানমার। উল্লেখ্য, মায়ানমার ফেলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালানোর তিন মাসের মাথায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রত্যাবাসন বিষয়ে মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সই হলেও গত প্রায় ছয় বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনও অগ্রগতি হয়নি। পরে চিনের মধ্যস্থতায় ২০১৯ সালে আবারও প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।