১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিহারে নিষিদ্ধ মদ! চম্পারণে বিষমদে মৃত ১২

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ফের বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল নীতীশ কুমারের রাজ্যে (Bihar)। বুধবার রাতে পশ্চিম চম্পারণ জেলার নওতন থানা এলাকায় বিষাক্ত চোলাই খেয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। উৎসবের দিনে বিষমদের ছোবলে বিহারে মৃ্ত্যুমিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।

অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গোপালগঞ্জ ও পশ্চিম চম্পারণ জেলায় গত দু’দিন ধরে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। যা প্রবল চিন্তায় রেখেছে প্রশাসনকে। বিহারের অন্যান্য জেলার মতো এই দুই জেলাতেও মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও ঘটে গেল অনভিপ্রেত ঘটনা।

পুলিশ সুপার উপেন্দ্র নাথ বর্মা বলেছেন, দক্ষিণ তেলহুয়া পঞ্চায়েত এলাকায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষাক্ত চোলাই খেয়ে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম চম্পারণের জেলাশাসক বলছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ড্রাই স্টেট হিসেবে পরিচিত বিহার। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুরসিতে বসার পর থেকেই বিহারকে মদমুক্ত করার উদ্যোগ নেন। সেটা ২০১৬ সাল। সেই থেকেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ। তবে গাঁ-গঞ্জে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বিক্রি হচ্ছেই।গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, গত ২ দিনে যে ১৬ জন মারা গিয়েছেন তাঁদের মৃত্যুর কারণ রহস্যময়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নীতীশ কুমার ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজ্যে মদ্যপানের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু তার পরেও মদের রমরমা কমেনি। গ্রামীণ এলাকায় দেশি মদের রমনরমা বাজার। মদ বিক্রি করেন মহিলারাও। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ (এনএফএইচএস)-এর সমীক্ষা চলছে, মফসসলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকাতেই মদ পান করা হয় অনেক বেশি। বিষাক্ত চোলাইও বিক্রি হয় গোপনে। তারই ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখা যাচ্ছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিহারে নিষিদ্ধ মদ! চম্পারণে বিষমদে মৃত ১২

আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ফের বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল নীতীশ কুমারের রাজ্যে (Bihar)। বুধবার রাতে পশ্চিম চম্পারণ জেলার নওতন থানা এলাকায় বিষাক্ত চোলাই খেয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। উৎসবের দিনে বিষমদের ছোবলে বিহারে মৃ্ত্যুমিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।

অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গোপালগঞ্জ ও পশ্চিম চম্পারণ জেলায় গত দু’দিন ধরে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। যা প্রবল চিন্তায় রেখেছে প্রশাসনকে। বিহারের অন্যান্য জেলার মতো এই দুই জেলাতেও মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও ঘটে গেল অনভিপ্রেত ঘটনা।

পুলিশ সুপার উপেন্দ্র নাথ বর্মা বলেছেন, দক্ষিণ তেলহুয়া পঞ্চায়েত এলাকায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষাক্ত চোলাই খেয়ে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম চম্পারণের জেলাশাসক বলছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ড্রাই স্টেট হিসেবে পরিচিত বিহার। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুরসিতে বসার পর থেকেই বিহারকে মদমুক্ত করার উদ্যোগ নেন। সেটা ২০১৬ সাল। সেই থেকেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ। তবে গাঁ-গঞ্জে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বিক্রি হচ্ছেই।গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, গত ২ দিনে যে ১৬ জন মারা গিয়েছেন তাঁদের মৃত্যুর কারণ রহস্যময়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নীতীশ কুমার ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজ্যে মদ্যপানের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু তার পরেও মদের রমরমা কমেনি। গ্রামীণ এলাকায় দেশি মদের রমনরমা বাজার। মদ বিক্রি করেন মহিলারাও। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ (এনএফএইচএস)-এর সমীক্ষা চলছে, মফসসলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকাতেই মদ পান করা হয় অনেক বেশি। বিষাক্ত চোলাইও বিক্রি হয় গোপনে। তারই ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখা যাচ্ছে।