নিজেকে আলোকিত করতে দেখে নিন হযরত খাজা হাসান বসরী (র) এর ৩০ টি মূল্যবান বাণী

- আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার
- / 14
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হজরত হাসান বসরি’র পুরো নাম আল হাসান ইবনে আবিল হাসান আল বসরি (জীবনকাল ৬৪২ – ৭২৮ খ্রীস্টাব্দ)। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত স্কলার । জন্মেছিলেন পারস্যে। বড় হয়েছিলেন উম্মে সালামার ঘরে। হাসান বসরী বহু সাহাবির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বলা হয় যে, বদর যুদ্ধে সৈনিক হিসেবে অংশগ্রহণকারী সত্তরজন সাহাবীর সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। সুফি সাধনার দিক দিয়ে তিনি ছিলেন হযরত আলীর অনুসারী ।
1. যে নিজেই ব্যাধিগ্রস্ত, সে অন্যের চিকিৎসা কিভাবে করবে? পথভ্রান্ত যে, সে কি অন্যের পথ দেখাতে পারে?
2. আমি কেবল আল্লাহর স্বানিধ্য তথা জান্নাত চাই। মানুষ থেকে নিরাপত্তা নয়। এদের জিহ্বা থেকে স্বয়ং আল্লাহও রেহাই পাননি।
3. যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনার সঙ্গে থাকেন আর আপনার পূর্ণ আস্থা অটুট থাকে, তাহলে আর ভাবনা কিসের? আর এ কথায় যদি আপনার আস্থা না থাকে তাহলে অন্যের উপদেশে কোনও ফল হবে না।
4. দুনিয়ার প্রতি তীব্র আসক্তির ফলেই হৃদয়-মনের মৃত্যু ঘটে।
5. মানুষ ছাগল ভেড়ার চেয়েও অসাবধান। রাখালের ডাক শুনে পশুরা ঘাস খাওয়া ছেড়ে তার কাছে ছুটে যায়। মানুষ তার প্রতিপালকের আহ্বানে কর্ণপাতই করে না।
6. মন্দলোকের সঙ্গে সংসর্গ ভালো লোকের সঙ্গে সদ্ভাব প্রদর্শনে বাধা সৃষ্টি করে।
7. হৃদয়ে যখন প্রভু বিরোধিতার লেশমাত্র থাকে না, বুঝতে হবে তখনই মারেফত অর্জিত হয়েছে।
8.বহিরঙ্গের আনুষ্ঠানিকতা দ্বারা জান্নাত লাভ করা যায় না। প্রয়োজন মনের একাগ্রতা ও কঠোর সাধনা।
9. মনের আয়নায় যখন শুধু সৎ ভাবনা প্রতিফলিত হয়, তখন জানতে হবে সঠিক পথেই রয়েছি। আর যদি উঠে আসে অসৎ চিন্তা, তাহলে বুঝতে হবে অসৎ পথেই রয়েছি।
10. যার কথায় না আছে যুক্তি আর না আছে বুদ্ধি, সে কথাতে কোনো উপকারই নেই। সে কথা শোনা মানেই শুধু শুধু সময় নষ্ট করা।
11. নিবিড় নির্জন চিন্তায় যার মন আল্লাহকে জানতে না পারে, সে নিশ্চয় পার্থিব জীবনের প্রতি মোহাচ্ছন্ন। অথবা অলস।
12. যে প্রবৃত্তিকে বশীভূত করেছে, সে স্বাধীনতা লাভ করেছে।
13. যে হিংসা দ্বেষ ত্যাগ করেছে, সে বন্ধুত্বের উপযুক্ত হয়েছে।
14. আল্লাহ ভীতির লক্ষ্মণ তিনটি। ১.তিনি সর্ব অবস্থায় সত্য বলেন। ২.মন্দ রিপুকে দমনে রাখেন। ৩.আল্লাহর সন্তুষ্টিতে নিজেকে ব্যাপৃত রাখেন।
15. এক পলকের পার্থিব অনাসক্তি হাজার বছরের ইবাদত হতে মূল্যবান।
16. অন্তরে বাহিরে অমিলই হল প্রবঞ্চনার লক্ষ্মণ।
17. তিনিই প্রকৃত বিশ্বাসী যিনি আল্লাহর শপথ করে বলতে পারেন তিনি বিশ্বাসী।
18. যিনি ধীরস্থির, সাধনায় দিন যাপন করেন আর অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন না, তিনিই প্রকৃত বিশ্বাসী।
19. পার্থিব আসক্ত মানুষ তিনটি আক্ষেপ নিয়ে কবরে যায়। ১.ধনের উপার্জন ও সঞ্চয়ের অতৃপ্তি ২.আশা আকাঙ্খা পূরণ না হওয়ার ক্ষোভ ৩.পরকালের পাথেয় অর্জন না হওয়ার ব্যথা।
20. পার্থিব জীবন যেন একটা গচ্ছিত সম্পত্তি। যখন খুশি মালিকের হাতে সঁপে দিয়ে চলে যাওয়া যায়। এ ভাবনা যারা করেন তাদের মনে কোনও দুঃখ-অশান্তি সৃষ্টি হয় না।
21. তিনিই বুদ্ধিমান যিনি পার্থিব সৌধ ভেঙে তার ওপর গড়ে তোলেন পারলৌকিক ইমারত।
22. যিনি আল্লাহকে চিনেছেন তিনি আল্লাহর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছেন। আর যিনি দুনিয়াকে চিনেছেন তিনি আল্লাহর সঙ্গে শত্রুতায় লিপ্ত হয়েছেন।
23. মানুষের রিপুগুলোকে খুব শক্ত শেকলে বেঁধে রাখতে হয়।
24. আল্লাহ যাকে ঘৃণিত করে দিয়েছেন, সেই দুনিয়ার প্রতি আসক্ত।
25. যে মানুষ অন্য মানুষদের বশীভূত করতে চায়, সে জ্ঞানী নয়। তার অন্তরে রয়েছে অসৎ উদ্দেশ্য।
26. অন্যকে কোনও কঠোর আদেশ দানের পূর্বে সে আদেশ নিজের চর্চা করা চাই।
27. যে অন্যের দোষ তোমাকে বলে, সে নিশ্চয়ই তোমার দোষও অপরকে বলে।
28. আমার ধর্মাবলম্বী ভাই সহোদর ভাইয়ের চেয়েও প্রিয়। যদি তার মধ্যে প্রকৃত দ্বীন থাকে।
29. যে নামাজ মনকে সংযত করে সে নামাজীই আল্লাহর কাছে ক্ষমার আশা করতে পারে।
30. যার দৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর রহস্যময়তার আভাস নেই তারও দৃষ্টি জাগতিক ধুলাবালির দ্বারা আচ্ছন্ন।