২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃত তিমির পেটে ৪৪ কোটি টাকার সোনা!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 10

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সৈকতে ভেসে এসেছিল এক বিরল জাতের তিমির মৃতদেহ। সেই দেহ উদ্ধারের পর তিমির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে চমকে যায় উদ্ধারকারীরা। ময়না তদন্তের পর দেখা যায়, তিমির পেটে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। আর সেই বহুমূল্য সম্পদই তিমিটির মৃত্যুর কারণ। ক্যানারি দ্বীপের লা পালমায় নগালেস সৈকতে পড়েছিল তিমিটির দেহ।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এটি বিরল প্রজাতির স্পার্ম হোয়েল। পৃথিবীতে যত তিমি রয়েছে, স্পার্ম হোয়েলের সংখ্যা তার মাত্র এক শতাংশ। নগলেস সৈকতের তিমিটিকে প্রাথমিক পরীক্ষা করে হজমজনিত সমস্যার কিছু প্রমাণ পান চিকিৎসকেরা। এরপর তিমিটির পাচনতন্ত্র পরীক্ষা করেন তাঁরা। দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি পাথর। যার দাম কম করে ৪৪ কোটি টাকা! কী এমন রয়েছে ওই পাথরে?

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই পাথর আদতে স্পার্ম তিমির বমি। যা এতটাই বিরল এবং দামি যে তাকে সমুদ্রে ভাসমান সোনা বলা হয়। সুগন্ধি তৈরি করা থেকে শুরু আরও নানা শিল্পে ব্যবহার হয় এই তিমির বমি। যার চাহিদা আকাশছোঁয়া। নাম অ্যাম্বারগ্রিস। ১০০টি স্পার্ম তিমির মধ্যে একটিতে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয়। ১৯ শতকের প্রথম দিকে যখন বড় আকারের তিমি শিকার শুরু হয়েছিল তখন এ বিষয়টি জানা যায়।

তিমিরা প্রচুর পরিমাণে স্কুইড এবং  কাটলফিশ খায়, যার বেশিরভাগই তারা হজম করতে পারে না এবং বমি হয়ে যায়। কিন্তু কিছু অবশিষ্ট থাকে এবং বছরের পর বছর ধরে তিমির অন্ত্রে আবদ্ধ থেকে ধীরে ধীরে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয়। কখনও কখনও এটি তিমির শরীর থেকে বের হয়ে গিয়ে সমুদ্রে ভাসতে তাকে। কিন্তু কখনও কখনও এটি খুব বড় হয়ে গিয়ে অন্ত্র ফেটে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তিমিটি মারা যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মৃত তিমির পেটে ৪৪ কোটি টাকার সোনা!

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সৈকতে ভেসে এসেছিল এক বিরল জাতের তিমির মৃতদেহ। সেই দেহ উদ্ধারের পর তিমির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে চমকে যায় উদ্ধারকারীরা। ময়না তদন্তের পর দেখা যায়, তিমির পেটে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। আর সেই বহুমূল্য সম্পদই তিমিটির মৃত্যুর কারণ। ক্যানারি দ্বীপের লা পালমায় নগালেস সৈকতে পড়েছিল তিমিটির দেহ।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এটি বিরল প্রজাতির স্পার্ম হোয়েল। পৃথিবীতে যত তিমি রয়েছে, স্পার্ম হোয়েলের সংখ্যা তার মাত্র এক শতাংশ। নগলেস সৈকতের তিমিটিকে প্রাথমিক পরীক্ষা করে হজমজনিত সমস্যার কিছু প্রমাণ পান চিকিৎসকেরা। এরপর তিমিটির পাচনতন্ত্র পরীক্ষা করেন তাঁরা। দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি পাথর। যার দাম কম করে ৪৪ কোটি টাকা! কী এমন রয়েছে ওই পাথরে?

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই পাথর আদতে স্পার্ম তিমির বমি। যা এতটাই বিরল এবং দামি যে তাকে সমুদ্রে ভাসমান সোনা বলা হয়। সুগন্ধি তৈরি করা থেকে শুরু আরও নানা শিল্পে ব্যবহার হয় এই তিমির বমি। যার চাহিদা আকাশছোঁয়া। নাম অ্যাম্বারগ্রিস। ১০০টি স্পার্ম তিমির মধ্যে একটিতে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয়। ১৯ শতকের প্রথম দিকে যখন বড় আকারের তিমি শিকার শুরু হয়েছিল তখন এ বিষয়টি জানা যায়।

তিমিরা প্রচুর পরিমাণে স্কুইড এবং  কাটলফিশ খায়, যার বেশিরভাগই তারা হজম করতে পারে না এবং বমি হয়ে যায়। কিন্তু কিছু অবশিষ্ট থাকে এবং বছরের পর বছর ধরে তিমির অন্ত্রে আবদ্ধ থেকে ধীরে ধীরে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয়। কখনও কখনও এটি তিমির শরীর থেকে বের হয়ে গিয়ে সমুদ্রে ভাসতে তাকে। কিন্তু কখনও কখনও এটি খুব বড় হয়ে গিয়ে অন্ত্র ফেটে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তিমিটি মারা যায়।