১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে বন্দি করেছে ইহুদি সেনা  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 7

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ২০২২ সালে ৬০০শ’রও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে বন্দি করেছে ইসরাইল।  ফিলিস্তিনের বন্দি ও প্রাক্তন বন্দি বিষয়ক কমিশন এই তথ্য প্রকাশ করেছে। কমিশন জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনা ফিলিস্তিনি শিশুদের শাস্তি দেওয়ার জন্য গৃহবন্দি করে রাখার নীতি গ্রহণ করেছে। এসব শিশুর বয়স ১৪ বছরের কম। ইসরাইলি আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কারাবাসের অনুমতি দেওয়া হয় না।

 

এজন্য আদালত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের বাড়িতে আটক রাখার নির্দেশ দেয়। এরপর সেই সব শিশুর বিচার চলে বছরের পর বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। এসব শিশুদের একটি ট্র্যাকিং ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট  পরিয়ে রাখে ইহুদি সেনা। অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের ফিলিস্তিনি শিশুদের নির্যাতনে ইসরাইলি বাহিনী প্রায়ই এ ধরনের অমানবিক শাস্তি দিয়ে থাকে।

 

এই ধরনের পরিস্থিতিতে সন্তানের মুক্তির আশায় বাবা মায়েরা আদালতের কোষাগারে অর্থ জমা দেওয়ার জন্য নিজেদের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেন।  ফিলিস্তিনি শিশুদের তাদের নিজেদের বাড়ির বাইরেও ভিন্ন শহরে কিংবা বাসস্থানে গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য করা হয়। এক্ষেত্রে এসব বাড়ির ভাড়া  পরিশোধের জন্য শিশুদের পরিবারকে বাধ্য করা হয়। ফিলিস্তিনি কমিশন জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শিশুরা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিক সমস্যায় পড়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৬০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে বন্দি করেছে ইহুদি সেনা  

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ২০২২ সালে ৬০০শ’রও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে বন্দি করেছে ইসরাইল।  ফিলিস্তিনের বন্দি ও প্রাক্তন বন্দি বিষয়ক কমিশন এই তথ্য প্রকাশ করেছে। কমিশন জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনা ফিলিস্তিনি শিশুদের শাস্তি দেওয়ার জন্য গৃহবন্দি করে রাখার নীতি গ্রহণ করেছে। এসব শিশুর বয়স ১৪ বছরের কম। ইসরাইলি আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কারাবাসের অনুমতি দেওয়া হয় না।

 

এজন্য আদালত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের বাড়িতে আটক রাখার নির্দেশ দেয়। এরপর সেই সব শিশুর বিচার চলে বছরের পর বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। এসব শিশুদের একটি ট্র্যাকিং ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট  পরিয়ে রাখে ইহুদি সেনা। অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের ফিলিস্তিনি শিশুদের নির্যাতনে ইসরাইলি বাহিনী প্রায়ই এ ধরনের অমানবিক শাস্তি দিয়ে থাকে।

 

এই ধরনের পরিস্থিতিতে সন্তানের মুক্তির আশায় বাবা মায়েরা আদালতের কোষাগারে অর্থ জমা দেওয়ার জন্য নিজেদের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেন।  ফিলিস্তিনি শিশুদের তাদের নিজেদের বাড়ির বাইরেও ভিন্ন শহরে কিংবা বাসস্থানে গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য করা হয়। এক্ষেত্রে এসব বাড়ির ভাড়া  পরিশোধের জন্য শিশুদের পরিবারকে বাধ্য করা হয়। ফিলিস্তিনি কমিশন জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শিশুরা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিক সমস্যায় পড়েছে।