১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিহারে বজ্রপাতে ৬১ জনের মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ ও ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 37

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  গত ৪৮ ঘন্টায় বিহারে কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু। নালন্দায় মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি।বৃহস্পতিবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২। শুক্রবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১। পাটনা, ভোজপুর, সিওয়ান এবং গয়াতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ এবং জামুইতে তিনজন, মুজাফফরপুর, জেহানাবাদ, সরণ এবং আরওয়ালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।  অন্যদিকে বেগুসরাই, দারভাঙ্গা, সহরসা, কাটিহার, মুঙ্গের, মাধেপুরা, আরারিয়া এবং ভাগলপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

নালন্দার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শশাঙ্ক ভুবনকর জানিয়েছেন, বজ্রপাতের কারণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।  মানপুর থানা সীমানার অন্তর্গত নাগমা গ্রামে বৃহস্পতিবার একটি মন্দিরের উপর গাছ পড়ে ছয়জন মারা গেছেন। শিলাবৃষ্টির সময় গ্রামবাসীরা একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দেয়াল ধসে তাঁদের মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টিতে বিহারের ৩৮টি জেলার কমপক্ষে ২৫টি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের ফলে ঘরবাড়ি, গবাদি পশু এবং কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিহারে বজ্রপাতে ৬১ জনের মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ ও ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  গত ৪৮ ঘন্টায় বিহারে কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু। নালন্দায় মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি।বৃহস্পতিবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২। শুক্রবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১। পাটনা, ভোজপুর, সিওয়ান এবং গয়াতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ এবং জামুইতে তিনজন, মুজাফফরপুর, জেহানাবাদ, সরণ এবং আরওয়ালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।  অন্যদিকে বেগুসরাই, দারভাঙ্গা, সহরসা, কাটিহার, মুঙ্গের, মাধেপুরা, আরারিয়া এবং ভাগলপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

নালন্দার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শশাঙ্ক ভুবনকর জানিয়েছেন, বজ্রপাতের কারণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।  মানপুর থানা সীমানার অন্তর্গত নাগমা গ্রামে বৃহস্পতিবার একটি মন্দিরের উপর গাছ পড়ে ছয়জন মারা গেছেন। শিলাবৃষ্টির সময় গ্রামবাসীরা একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দেয়াল ধসে তাঁদের মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টিতে বিহারের ৩৮টি জেলার কমপক্ষে ২৫টি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের ফলে ঘরবাড়ি, গবাদি পশু এবং কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।