চিনে প্রতিবছর গর্ভেই মারা যায় ৬৪ হাজার শিশু

- আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 13
বিশেষ প্রতিবেদন: বায়ু দূষণের কারণে চিনে প্রতিবছর গর্ভাবস্থায় প্রায় ৬৪ হাজার শিশু মারা যায় বলে একটি গবেষণায় বলা হয়েছে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে দেশটির জাতীয় অভিযান শুরুর পরও এমন পরিসংখ্যান স্বভাবতই উদ্বেগ তৈরি করেছে। গবেষণায় ১৩৭টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষকরা বায়ু দূষণের জন্য বায়ুবাহিত কণাকে দায়ী করেছেন। এই সূক্ষ্ম বায়ুকণার ব্যাস ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম হয়।
বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা পিএম ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কারণে বিশ্বের ৯৮ শতাশং শিশু মাতৃগর্ভে মারা যায়। বায়ু দূষণের কারণে গর্ভে শিশুর মৃত্যুতে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চিন। জু তাওয়ের নেতৃত্বে পিকিং ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। গত দশকে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে চিন সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কারণে এ ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
এদিকে বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। বায়ু দূষণের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশু ও প্রবীণরা। বিশ্বব্যাঙ্ক এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইটভাটা নয়, যানজট, মেট্রোরেল’সহ বিভিন্ন নির্মাণকাজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে বায়ু দূষণ বাড়িয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে, দিনে ২টি সিগারেট খেলে মানবদেহের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, বায়ু দূষণের কারণে প্রতিদিন সেই পরিমাণ ক্ষতির শিকার হন নগরবাসী। বিশেষ করে নবজাতক থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ষাটোর্ধ্বরা রয়েছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। এ ছাড়া প্রতিনিয়তই বাড়ছে হাঁচি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট। এসবের কারণে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন বাংলাদেশে।