২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতি-ধর্মের কারণে ৭৭ শতাংশ বৈষম্যের শিকার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 5

প্রতীকী খবর

হাইলাইটসঃ মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে নেতিবাচক খবর তুলে ধরাই ‘জেনোফোবিয়া’ বা বিদেশাতঙ্কের কারণ। অন্যান্য কারণের মধ্যে হল, শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকা ও তাদের প্রতি রাজনীতিবিদদের বৈষম্যমূলক আচরণ। 

 

বিশেষ প্রতিবেদন: বর্ণবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়া নিয়ে আমেরিকাসহ ইউরোপের চার দেশে বিশেষ গবেষণা চালিয়েছে প্রেসিডেন্সি ফর তুর্কস অ্যাব্রড অ্যান্ড রিলেটেড কমিউনিটিস। আর এই গবেষণা থেকে যে ফল বেরিয়ে এসেছে তা এককথায় ভয়াবহ। বিদেশের মাটিতে অবস্থিত তুর্কি সংস্থা জানায়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৭৭ শতাংশই বলছেন, তারা জাতি বা ধর্মের কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, ৮৮ শতাংশের মতে বৈষম্যের ঘটনাগুলি বিগত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

এই গবেষণাটি নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, সুইডেন ও আমেরিকায় চালানো হয়েছে। মূলত, ইউরোপে বসবাসরত তুর্ক ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্য বর্তমানে কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা বুঝতেই এই গবেষণা। দেখা যায়, ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, শুধুমাত্র ধর্ম ও জাতির কারণেই তারা বৈষম্যের শিকার হয়ে চলেছেন।

 

বিপরীতে, ২২ শতাংশ জানান, তারা বৈষম্যের শিকার হননি এবং ১ শতাংশ এ বিষয়ে উত্তর দেননি। গবেষণায় দেখা যায়, ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন দ্বৈত নাগরিকত্ব যাদের রয়েছে তারা একই দেশে বসবাসকারী অন্য নাগরিকদের মতো সমান সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন না, এদিকে ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতার মতে তারা একই সুযোগ পাচ্ছেন।

 

ইউরোপের দেশগুলিতে শরণার্থী মর্যাদায় বসবাসকারী ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, তারা যে দেশে বাস করছেন সেই দেশের নাগরিকদের মতো সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। ৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাদের দেশে বর্ণবাদ ও বৈষম্য কয়েক বছরে ব্যাপক হারে  বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরদাতাদের সকলেই বলছেন, মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে নেতিবাচক খবর তুলে ধরাই জেনোফোবিয়াবা বিদেশাতঙ্কের কারণ। অন্যান্য কারণের মধ্যে হল, শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকা ও তাদের প্রতি রাজনীতিবিদদের বৈষম্যমূলক আচরণ।তবে ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের হার উর্ধ্বমুখী। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, জাতীয়তা, গোত্র, দাড়ি, হিজাব বা ধর্মীয় প্রতীক হল জেনোফোবিয়া বা বিদেশাতঙ্কের মূল কারণ। নাম এবং পদবি দেখেও বৈষম্য করা হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জাতি-ধর্মের কারণে ৭৭ শতাংশ বৈষম্যের শিকার

আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার

হাইলাইটসঃ মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে নেতিবাচক খবর তুলে ধরাই ‘জেনোফোবিয়া’ বা বিদেশাতঙ্কের কারণ। অন্যান্য কারণের মধ্যে হল, শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকা ও তাদের প্রতি রাজনীতিবিদদের বৈষম্যমূলক আচরণ। 

 

বিশেষ প্রতিবেদন: বর্ণবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়া নিয়ে আমেরিকাসহ ইউরোপের চার দেশে বিশেষ গবেষণা চালিয়েছে প্রেসিডেন্সি ফর তুর্কস অ্যাব্রড অ্যান্ড রিলেটেড কমিউনিটিস। আর এই গবেষণা থেকে যে ফল বেরিয়ে এসেছে তা এককথায় ভয়াবহ। বিদেশের মাটিতে অবস্থিত তুর্কি সংস্থা জানায়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৭৭ শতাংশই বলছেন, তারা জাতি বা ধর্মের কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, ৮৮ শতাংশের মতে বৈষম্যের ঘটনাগুলি বিগত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

এই গবেষণাটি নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, সুইডেন ও আমেরিকায় চালানো হয়েছে। মূলত, ইউরোপে বসবাসরত তুর্ক ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্য বর্তমানে কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা বুঝতেই এই গবেষণা। দেখা যায়, ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, শুধুমাত্র ধর্ম ও জাতির কারণেই তারা বৈষম্যের শিকার হয়ে চলেছেন।

 

বিপরীতে, ২২ শতাংশ জানান, তারা বৈষম্যের শিকার হননি এবং ১ শতাংশ এ বিষয়ে উত্তর দেননি। গবেষণায় দেখা যায়, ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন দ্বৈত নাগরিকত্ব যাদের রয়েছে তারা একই দেশে বসবাসকারী অন্য নাগরিকদের মতো সমান সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন না, এদিকে ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতার মতে তারা একই সুযোগ পাচ্ছেন।

 

ইউরোপের দেশগুলিতে শরণার্থী মর্যাদায় বসবাসকারী ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, তারা যে দেশে বাস করছেন সেই দেশের নাগরিকদের মতো সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। ৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাদের দেশে বর্ণবাদ ও বৈষম্য কয়েক বছরে ব্যাপক হারে  বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরদাতাদের সকলেই বলছেন, মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে নেতিবাচক খবর তুলে ধরাই জেনোফোবিয়াবা বিদেশাতঙ্কের কারণ। অন্যান্য কারণের মধ্যে হল, শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকা ও তাদের প্রতি রাজনীতিবিদদের বৈষম্যমূলক আচরণ।তবে ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের হার উর্ধ্বমুখী। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, জাতীয়তা, গোত্র, দাড়ি, হিজাব বা ধর্মীয় প্রতীক হল জেনোফোবিয়া বা বিদেশাতঙ্কের মূল কারণ। নাম এবং পদবি দেখেও বৈষম্য করা হয়।