হায়দরাবাদ, ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ তেলেঙ্গানায় নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নেমে ৮জন শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়ারের আটকে পড়ার পরে উদ্ধারের কাজ চললেও সোমবার পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা কাউকেই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে বের করতে পারেননি। রাজ্য সরকার যদিও জানিয়েছে, সর্বতোভাবে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। সুড়ঙ্গে ধসের পরে স্মৃতি থেকে উঠে আসছে সাড়ে চার বছর আগের এক দুর্ঘটনার কাহিনি।
একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল শ্রীসাইলামের লেফট ব্যাঙ্ক জলবিদ্যুত কেন্দ্রে। সেবার ৯জন ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মী শ্রীসাইলাম লেফট ব্যাঙ্ক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সর্ট সার্কিটজনিত দুর্ঘটনার ফলে আটকে পড়েন। এঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবার সকাল নটা নাগাদ নতুন করে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেইসময়ে সুড়ঙ্গের ভিতরে কাজ করছিলেন ৪০জন শ্রমিক। সূত্রের খবর, ধস নামারপরে ৩২জন শ্রমিক কোনওমতে বেরিয়ে এলেও বাকি ৮জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়েন। সূত্রের খবর, গত শনিবার থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স এবং দমকল উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে।
সূত্রের খবর, শ্রীসাইলামের যে সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেচ সুড়ঙ্গ। সেইসময়ে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওয়াই এস রাজাশেখরা রেড্ডি। এই সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজের বরাত দেওয়া হয় জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডকে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা।
বেসরকারি সংস্থার বরাত পাওয়া ওই নির্মিত সুড়ঙ্গে ধস নামার পরে তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে, প্রযুক্তি সংক্রান্ত গাফিলতি বা মানুষের ভুলে এই দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাহাড়ের পাথর আলগা থাকায়। রাজ্য সরকার একথা জানিয়ে আরও জানিয়েছে, অযথা রাজনীতি করছে সুড়ঙ্গে ধস নামা নিয়ে বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পরে চলতি সপ্তাহের শুরুতে নতুন করে সুড়ঙ্গের কাজ শুরু হয়।