নদীতে স্নান করতে নেমে কুমিরের শিকার বছর ৮ এর বালক! তারপর যা ঘটল

- আপডেট : ১২ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার
- / 27
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নদীতে স্নান করতে নেমেছিল বছর আটেকের এক বালক। স্নান করতে নেমে গভীর জলে যাওয়াই কাল হল। আচমকাই নদী থেকে উঠে আসে এক বিশালাকার কুমির। নিমেষের মধ্যেই টেনে নিয়ে যায় বালকটিকে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শেওপুরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে শেওপুরের চম্বল নদীতে স্নান করতে নেমেছিল বালকটি। আর তারপরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি স্থানীয়দের চোখে পড়তেই তড়িঘড়ি করে বালকটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।পরে গ্রামবাসীর রোষের মুখে পড়ে ওই কুমিরটি। লাঠি, দড়ি, জালের সাহায্যে কুমিরটিকে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা।বেধরক পেটানো হয় কুমিরটিকে। এমনকী কুমিরের পেট চিরে শিশুটিকে উদ্ধার করতে যাওয়ার চেষ্টা করেন উত্তেজিত জনতার একাংশ।
পুলিশ ও বনদফতরকে খবর দেওয়া হলে, উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্থানীয়রা দাবি জানান, যেভাবেই হোক কুমিরের পেট থেকে বালকটিকে বের করতে হবে। তার জন্য দীর্ঘক্ষণ কুমিরটিকে ঘিরে থাকেন বালকটির পরিবার পরিজন ওহ স্থানীয়রা। পরে বনদফতরের আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের হাত থেকে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন।
সূত্রের খবর, বালকটির পরিবার দাবি করেন যে, কুমিরের পেট থেকে বালকটিকে না বের করা পর্যন্ত তারা কুমিরটিকে ছাড়বে না। যেহেতু কুমিরটি বালকটিকে গিলে খেয়েছে,তার পেট চিরে বার করলেই সে বেঁচে যাবে। যতক্ষণ না কুমিরের পেট থেকে বালকটিকে বের করা হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা কুমিরটিকে ছাড়বেন না বলে দাবি জানান।
এই প্রসঙ্গে রঘুনাথপুর থানার ইনচার্জ জানান যে, কুমিরটি তাকে গিলে খায়নি। কোনওভাবে নদীর গভীর জলে তলিয়ে গিয়েছে সে। মঙ্গলবার পুনরায় তাকে খুঁজে বের করার কাজ শুরু করবেন অনুসন্ধানকারীরা। যদিও সোমবার তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হলেও, তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা উত্তেজিত জনতার একাংশ জানান যে,তারা দেখেছে কুমিরটি বালকটিকে গিলে খেয়েছে। আবার অন্য একদল জানায় যে, দিনের দিন চম্বল নদীতে থাকা কুমিরটি নরখাদক হয়ে উঠেছে। তাই শীঘ্রই ওই নদীতে থাকা যাবতীয় কুমিরকে অন্যত্রে পাঠানোর দাবি জানান তারা।