পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ নিত্য ব্যবহৃত একাধিক ওষুধ। অ্যাসিডিটি, কোলেস্টেরল সহ ডায়াবেটিসের ৮৪ টি ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ওষুধগুলি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যানডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন’ (সিডিএসসিও)। জানানো হয়েছে, অ্যাসিডিটি, কোলেস্টরল, ডায়াবেটিস ও জিবানু ঘটিত রোগের মোকাবিলায় নামাজাদা যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তার অধিকাংশই ওষুধ নিরাপদ নয়। এই ওষুধগুলির গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। যা রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলি অতিদ্রুত বাজার থেকে তুলে নেওয়া হোক।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি ৮৪টি ব্যাচের ওষুধ (অ্যাসিডিটি, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস) নিরাময়ের জন্য ওষুধও রয়েছে তাদের বেশিরভাগ গুণমান পরীক্ষা ডাহা ফেল হয়েছে। বলা বাহুল্য, সিডিএসসিও আধিকারিকেরা প্রতি মাসে আচমকা, কোনও আগাম নির্দেশিকা ছাড়াই বাজারচলতি ওষুধ পরীক্ষা করে দেখেন। এর আগেও এমন ‘সারপ্রাইজ় টেস্টে’ ব্যর্থ হয়েছিল বহু ওষুধ। কয়েক মাস আগেও বদহজমের ওষুধ ‘প্যান ডি’, ক্যালসিয়াম সাপলিমেন্ট ‘শেলক্যাল’, অ্যান্টি-ডায়াবিটিক ওষুধ ‘গ্লিমেপিরাইড’, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক ‘টেলমিসারটান’ ও আরও বেশি কিছু নামজাদা ওষুধ পরীক্ষায় মুখ থুবড়ে পরে।
এদিন সিডিএসসিও তার রিপোর্টে জানায়, তাদের পরীক্ষায় ৮৪ টিরও বেশি ওষুধ ‘নট অব স্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ (এনএসকিউ) বা যথেষ্ট গুণমানের মাপকাঠি উতরোতে পারেনি। এই সংখ্যাটি তাদের কাছে যথেষ্ট চিন্তা ও উদ্বেগের। এ ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। প্রথমত, পরীক্ষায় ‘ফেল’ করা ওষুধগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই জরুরি ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। যদিও এই ৮৪টি ওষুধের তালিকায় ঠিক কোন কোন সংস্থার ওষুধ রয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে।