১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সানী মওলা পাক’ ও ‘কুতুবে রব্বানী পাক’ -এর উরস পালিত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, শুক্রবার
  • / 9

উরস উপলক্ষ্যে কলকাতার ২২ নং খানকা শরীফ মসজিদ পাকে মিলাদ শরিফ শেষে মোনাজাতে শামিল উপস্থিত মানুষজন।

পুবের কলম প্রতিবেদক: মহান সুফি সাধক ‘সানী মওলা পাক’ নামে খ্যাত হযরত সৈয়দ শাহ মুসতারশিদ আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী পাকের ৪৭ তম বার্ষিক উরস উৎসব পালিত হয় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে, চাঁদের হিসাবে ২২ জিলকদ তারিখে। তিনি কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ‘বড় পীর সাহেব’ হযরত আব্দুল কাদির জিলানী-র ২১তম বংশধর। তাঁর মাযার শরীফ রয়েছে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ পাকে। তাঁরই পিতামহ ‘মওলা পাক’, যাঁর উরসে প্রতি বছর ৪ ই ফাল্গুন মেদিনীপুরে বাংলাদেশ থেকে স্পেশাল ট্রেন এসে থাকে।

‘সানী মওলা পাক’ ও ‘কুতুবে রব্বানী পাক’ -এর উরস পালিত

এই উরস একযোগে পালিত হচ্ছে মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে, কলকাতার ৪ নম্বর হাজি মুহাম্মদ মহসিন স্কোয়ারের দরবার পাকে ও ২২ নম্বর খানকা শরীফ লেনের মসজিদে, মঙ্গলকোটের কারিকরপাড়া কাদেরিয়া মসজিদে, বিহারের হযরত রওশনগঞ্জে এবং ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থিত সমস্ত কাদেরিয়া মসজিদ ও খানকা শরীফে। একই দিনে পালিত হল এই বংশধারার আর এক মহান সুফি সাধক

‘কুতুবে রব্বানী পাক’ নামে খ্যাত হযরত সৈয়দ শাহ তোফায়েল আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী-র ১৯৪ তম বার্ষিক উরস উৎসব। তিনি সুফি সম্রাট গওসুল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানীর ১৭ তম বংশধর। তাঁর মাযার শরীফ রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কারিকরপাড়ায়।

আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগে তাঁর পিতামহ বাগদাদ শরীফ থেকে হিন্দুস্থানে তশরিফ এনে বাংলার বুকে কাদেরিয়া তরিকার প্রসার ঘটান।

এই দুই সুফি সাধকের স্থলাভিষিক্ত উত্তরাধিকারী, সিলসিলা এ কাদেরিয়ার বর্তমান সাজ্জাদানশিন হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসুব আলী আলকাদেরী আলবাগদাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠান গুলি সম্পন্ন হয়। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ যোগদান করেন।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনও সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘সানী মওলা পাক’ ও ‘কুতুবে রব্বানী পাক’ -এর উরস পালিত

আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: মহান সুফি সাধক ‘সানী মওলা পাক’ নামে খ্যাত হযরত সৈয়দ শাহ মুসতারশিদ আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী পাকের ৪৭ তম বার্ষিক উরস উৎসব পালিত হয় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে, চাঁদের হিসাবে ২২ জিলকদ তারিখে। তিনি কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ‘বড় পীর সাহেব’ হযরত আব্দুল কাদির জিলানী-র ২১তম বংশধর। তাঁর মাযার শরীফ রয়েছে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ পাকে। তাঁরই পিতামহ ‘মওলা পাক’, যাঁর উরসে প্রতি বছর ৪ ই ফাল্গুন মেদিনীপুরে বাংলাদেশ থেকে স্পেশাল ট্রেন এসে থাকে।

‘সানী মওলা পাক’ ও ‘কুতুবে রব্বানী পাক’ -এর উরস পালিত

এই উরস একযোগে পালিত হচ্ছে মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে, কলকাতার ৪ নম্বর হাজি মুহাম্মদ মহসিন স্কোয়ারের দরবার পাকে ও ২২ নম্বর খানকা শরীফ লেনের মসজিদে, মঙ্গলকোটের কারিকরপাড়া কাদেরিয়া মসজিদে, বিহারের হযরত রওশনগঞ্জে এবং ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থিত সমস্ত কাদেরিয়া মসজিদ ও খানকা শরীফে। একই দিনে পালিত হল এই বংশধারার আর এক মহান সুফি সাধক

‘কুতুবে রব্বানী পাক’ নামে খ্যাত হযরত সৈয়দ শাহ তোফায়েল আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী-র ১৯৪ তম বার্ষিক উরস উৎসব। তিনি সুফি সম্রাট গওসুল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানীর ১৭ তম বংশধর। তাঁর মাযার শরীফ রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কারিকরপাড়ায়।

আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগে তাঁর পিতামহ বাগদাদ শরীফ থেকে হিন্দুস্থানে তশরিফ এনে বাংলার বুকে কাদেরিয়া তরিকার প্রসার ঘটান।

এই দুই সুফি সাধকের স্থলাভিষিক্ত উত্তরাধিকারী, সিলসিলা এ কাদেরিয়ার বর্তমান সাজ্জাদানশিন হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসুব আলী আলকাদেরী আলবাগদাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠান গুলি সম্পন্ন হয়। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ যোগদান করেন।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনও সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেন।