উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,সাগর : বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের দানার হাত থেকে কপিলমুনি রক্ষা করেছে সাগরদ্বীপের মানুষদের বলে দাবি মহন্তের। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় দানার হাত থেকে সাগরদ্বীপের সকল বাসিন্দাদের রক্ষা করেছে বাবা কপিলমুনি বলে এমনটাই দাবি কপিলমুনি মন্দিরের পুরোহিতের।
ঘূর্ণিঝড় দানা বৃহস্পতিবার রাতে তাণ্ডব লীলা চালায় ওড়িশার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় গুলিতে। তবে সুন্দরবনের এলাকায় এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে কাবু হয়ে ছিল সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনেরা।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মতন ঘূর্ণিঝড় দানা সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালাতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করেছিল আবহাওয়াবিদরা।যার জেরে জেলা জুড়ে জারি করা হয়েছিলো লাল সর্তকতা।
এখন গঙ্গাসাগর কার্যত পুণ্যার্থী শূন্য। তবে নিয়ম মেনে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের চলছে পুজো পাঠ।তবে পূজা পাঠের পর গঙ্গা সাগরের কপিলমুনি মন্দিরের প্রধান দরজা পূণ্যার্থীদের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে,শুক্রবার সকালে ও মন্দিরের প্রধান দরজা বন্ধ আছে।
শুক্রবার সকালে কপিলমুনি মন্দিরে পুরোহিত রামানন্দ দাস বলেন, সাগরদ্বীপকে এই ঘূর্ণিঝড় দানার হাত থেকে রক্ষা করেছে বাবা কপিলমুনি।ইয়াসের মতনই বঙ্গোপসাগরের জলস্ফীতি দেখা দেওয়ার আশংকায় কপিলমুনির মন্দিরের প্রধান দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।যা আজ ও বন্ধ রাখা আছে।তবে নিত্য পুজো চলছে মন্দিরের ভিতরে।
এদিকে সাগরে বৃহস্পতিবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে।ঘোড়ামারা, ধবলাট সহ একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে ছে।এদিন ভোর থেকে সাগরের ভাঙন কবলিত নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বংকিম চন্দ্র হাজরা।তিনি শুক্রবার সকালে বলেন,সুন্দরবনে খুব বেশি কিছু ক্ষতি হয়নি।
যেটুকু গাছপালা পড়েছে তা যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় পরিস্কার করা হচ্ছে। আর ভাঙন কবলিত নদী বাঁধ গুলি দ্রুত মেরামতির কাজ চলছে।তবে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি চলায় বাঁধ মেরামতের কাজে অসুবিধা হচ্ছে।
Read more: গুলমার্গে সেনাবাহিনীর গাড়িতে জঙ্গি হামলা, নিহত ৪, আহত ৩
ইতিমধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলার টিম রাস্তার ওপরে পড়ে থাকা গাছ গুলি কেটে রাস্তা পরিস্কার করে ফেলেছে।তবে কচুবেড়িয়া থেকে লট ৮ এর ফেরি সার্ভিস চলাচল আজও বন্ধ আছে।