BREAKING:
রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে রাজ্য সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। বৃহস্পতিবারের মেগা বৈঠকের আগেই রবিবার একান্ত আলোচনায় মমতা-অভিষেক বিরাট মরুদ্যানে ভারত উদয় গাজায় আর কতজন জিম্মি আছেন? সাংসদ রকিবুল হোসেনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাল অসম রাজ্যিক জমিয়ত উলামা মহারাষ্ট্রে রমযান মাসে সরকারি কর্মীদের ১ ঘন্টা আগে ছুটি দেওয়ার দাবি মুম্বইয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ হিন্দি ভাষা চাপানো নিয়ে তপ্ত হচ্ছে তামিলনাড়ু সউদিতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা খলিমুদ্দিন শেখের, দেড় মাস পর বাড়িতে ফিরল লাশ ইএম বাইপাসকে নির্বিঘ্নে সচল রাখতে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

কোডাকার কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ৬ বস্তা টাকা বিজেপির নির্বাচনী তহবিলে ব্যবহার হয়েছে: প্রাক্তন বিজেপি নেতা   

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কোডাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার নয়া মোড়। কেরলে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। ২০২১-এর নির্বাচনে ‘হাওয়ালার’ মাধ্যমে বিজেপির নির্বাচনী তহবিলে কয়েক কোটি টাকা ঢুকেছিল বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তিরুর সতীশ।

তিনি আরও বলেন, কোডাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় প্রায় ৬ বস্তা টাকা হাওয়ালা পদ্ধতিতে আনা হয়েছিল। যার পুরোটা বিজেপির নির্বাচনী তহবিল খাতে ব্যবহার হয়েছে। বলা বাহুল্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল ত্রিশুর জেলার কোডাকারায় এনএইচ ৫৪৪-এ হাওয়ালা টাকা বহনকারী একটি গাড়ি একদল দুষ্কৃতী আটকে দিয়েছিল। সেখান থেকে মজুত টাকার একাংশ  চুরে করে দুষ্কৃতীরা।

প্রাথমিকভাবে, পুলিশ ২৫  লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ পেয়েছিল।  তবে  তদন্তে জানা যায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা গায়েব ছিল। আর টাকাগুলি ধর্মরাজন নামে এক ব্যক্তি পরিবহন  করছিলেন।  যিনি আরএসএস কর্মী বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মামলায় সেসময় ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে কিছুদিন পর মামলার  তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদলি করা হলে জামিনে মুক্তি পায় আসামীরা । উক্ত মামলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি  কে সুরেন্দ্রনের ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে পরে পুলিশ তাকে ক্লিনচিট দেয়। এরপর পুরো মামলার ভার ইডির হাতে তুলে দেন  তারা।

যদিও সংশ্লিষ্ট মামলায় কোনও তৎপরতা দেখায়নি ইডি বলে অভিযোগ।  সতীশ এদিন আরও অভিযোগ আনে, ঘটনার কিছুদিন আগে বিজেপির জেলা অফিসে ধর্মরাজনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। অভিযোগ, টাকা লুটের আগে বিজেপি কোষাধ্যক্ষের নির্দেশ অনুসারে তাকে এবং তার সহযোগীদের ত্রিশুরে থাকার জন্য হোটেল রুম বুক করেছিলেন।

৩ এপ্রিল তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। সেই দিনেই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, প্রথমে ধর্মরাজন হাওয়ালার টাকা বিজেপি জেলা অফিসে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে কিছু টাকা সরিয়ে রাখে। পরে বাকি টাকা আলাপ্পুঝায় নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতি হয়েছিল। এদিকে, বিজেপি ত্রিশুর জেলা সভাপতি কে কে অনিশকুমার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সতীশকে আর্থিক অনিয়মের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলেও তোপ দাগেন তিনি। সিপিএম তাকে ঘুষ দিয়েছে এবং উপনির্বাচনের আগে তাকে বিজেপির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, যখনই কেরালায় কোনও নির্বাচন হয়, তখনই বিজেপিকে দোষী করার জন্য কোডাকার মামলা হাইলাইট হয়।

সতীশের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেপিসিসির কার্যনির্বাহী সভাপতি টি এন প্রথাপন বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইডি কেন মামলাটি তদন্ত করছে না বলেও জিজ্ঞাসা করেন।

 

 

 

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder