অজিত পাওয়ারকে এনডিএ-তে আনতে বিজেপির ‘ব্ল্যাকমেইল’- অভিযোগের তদন্ত চায় কংগ্রেস

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারকে এনডিএ জোটে আনতে ‘ব্ল্যাকমেইল’ এবং ‘জবরদস্তি’-র যে বিষয়টি সামনে এসেছে তার তদন্ত দাবি করল জাতীয় কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, এই বিষয়টি শুধুমাত্র জবরদস্তি ও ব্ল্যাকমেইলের নয়। গোপনীয়তার শপথ এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন লঙ্ঘনেরও। পোস্টে তিনি আরও বলেন, বিজেপির ওয়াশিং মেশিন সারা ভারত জুড়ে কার্যকর থাকলেও সবচেয়ে বেশি ছিল মহারাষ্ট্রে।

২০১৪ সালের আগে বিজেপি যখন বিরোধী আসনে ছিল, তখন তৎকালীন রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, ৭০ হাজার কোটি টাকার দূর্নীতি হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা লেখেন, অজিত পাওয়ার বর্তমানে দাবি করছেন যে বিজেপি তাকে এনডিএ জোটে আনতে দূর্নীতির এই অভিযোগকে ব্যবহার করেছিল। রমেশ তাঁর পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে অ-জৈবিক প্রধানমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি বলেন, মোদি অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির এই অভিযোগ প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে রাজ্য (মহারাষ্ট্র) এবং কেন্দ্রের এই জোট সদস্য তৎকালীন এনসিপিকে প্রধানমন্ত্রী ‘ন্যাচারাল কোরাপ্ট পার্টি’ বলে উল্লেখ করতেন।

রমেশ বলেন, সম্প্রতি অজিত পাওয়ার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দেবেন্দ্র ফড়নবীশ তাঁকে একটি ফাইল দেখিয়েছেন। যাতে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ কেলেঙ্কারি তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। রমেশ তাঁর পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, এর দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে? হয় আমাদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করো অথবা তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হও।

উল্লেখ্য, শারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি ছেড়ে অজিত পাওয়ার-সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক শিবসেনা বিজেপি সরকারে যোগদান করেছিলেন।

 

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder