BREAKING:
রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট জার্মানিতে রক্ষণশীল দলের জয়, উচ্ছসিত ট্রাম্প বিধ্বস্ত গাজা পুনর্নির্মাণই সমাধানের পথ: জর্ডান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পোপ ফ্রান্সিসের আরোগ্য কামনা আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমামের এখনও সুড়ঙ্গে আটক ৮জন, ফিরে আসছে অতীত দুর্ঘটনার স্মৃতি আম্বেদকর ও ভগৎ সিং-এর ছবি সরানোয় দিল্লি বিধানসভায় তুলকালাম মাহবুবুলকে হেনস্থা একটা সম্প্রদায়কে অপমানঃ হাফিজ জামাত ভেঙে নতুন রাজনৈতিক দল জেডিএফ শহরে বেপরোয়া বাসের দৌরাত্ম, সোমে তিনটি দুর্ঘটনা মৃত ২ মদ খেয়ে ইভটিজিং, পানাগড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু চন্দনগরের তরুণীর স্যালাইন কাণ্ড: জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন প্রত্যাহার

বাধ্যতামূলক নয় নেট! শিক্ষক-উপাচার্য নিয়োগে ব্যাপক বদল ইউজিসির

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অধ্যাপক হতে গেলে বাধ্যতামূলক নয় নেট! শুধু তাই নয়, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক রদবদল এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সোমবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের আমূল পরিবর্তনের একটি খসড়া প্রকাশ করেন। বলা বাহুল্য, বর্তমানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রিতে একই বিষয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। এবার সেই নিয়ম তুলে নেওয়া হচ্ছে।

কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত ২০২৫ সালের বিধি প্রকাশ করে ইউজিসি–র চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, কোনও প্রার্থী স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, সেটার পরিবর্তে অন্য কোনও সাবজেক্টে তিনি যদি নেট (ন্যাশনাল এলিজিবিটি টেস্ট) উত্তীর্ণ হন, তাহলে তাতে শিক্ষকতা করার সুযোগ পাবেন। শুধু তাইও নয়, অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে নেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানানো হয়েছে।

নয়া নিয়মে আরও বলা হয়েছে, এম.ই বা এম.টেক ডিগ্রিতে যে সমস্ত প্রার্থী ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন, তারা কোনো রকম ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টে উত্তীর্ণ না হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন। তবে অন্য কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়ম কার্যকারী হবে না। সেক্ষেত্রে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য প্রার্থীকে ৪ বছরের স্নাতকে  ৭৫ শতাংশ নম্বর বা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর এবং পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে।

ঘটনাপ্রসঙ্গে উচ্চশিক্ষা সংসদের এক আধিকারিক বলেন, ধরা যাক কোনও প্রার্থী স্নাতকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু মাস্টার্স করেছেন উইমেন স্টাডিজ নিয়ে। আবার তিনি পিএইচডি করেছেন ইতিহাসে, আর উক্ত বিষয়েই নেট/সেট কোয়ালিফাই করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ইতিহাসে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে  উচ্চশিক্ষার তিনটি স্তরে তিনটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী আদৌ কতটা শিখলেন বা পড়ুয়াদেরই বা কতটা শেখাতে পারবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শিক্ষা মহলের একাংশ। শিক্ষকের পাশাপাশি উপাচার্য  নিয়োগেও ব্যাপক রদবদলের সুপারিশ হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র শিক্ষাবিদ নন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুণী ব্যক্তিদেরও উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। যেমন ইন্ডাস্ট্রি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পলিসি মেকিং ইত্যাদি  ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট পেশাদার ব্যক্তিরাও এবার থেকে উপাচার্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান থাকতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder