পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কমবেশি আমরা সবাই সারাদিন অসংখ্যবার গুগল ব্যবহার করেন।হেন কোনও প্রশ্ন মনে জাগলেই গুগলের সাহায্য নি আমরা। তবে গুগলে এমন কিছু বিষয় আছে যা সার্চ করলেই আপনি বিপদে পড়বেন। গুগলে এমন কোনো অনৈতিক বা বেআইনি কার্যকলাপ করা চলবে না। আর যদি সেই সব জিনিস খুঁজে ফেলেন, তাহলে বিরাট বড় জরিমানা গুনতে হতে পারে। গুগল হল একমাত্র সার্চ ইঞ্জিন যা থেকে এক নিমেষেই সমস্ত বিষয় চলে আসে হাতের মুঠোয়। সারাদিন কম বেশি কোটি কোটি মানুষ সার্চ করেন বিভিন্ন বিষয়। এমন কিছু বিষয়ের তালিকা দেখে নিন, যেগুলি গুগলে সার্চ করা আপনাকে বড় শাস্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
১. বোমা তৈরির নির্দেশিকা
অনেকেই অনেক বিষয়ে খুব কৌতূহলী থাকেন। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা। বিজ্ঞান বিষয়ে নানান কিছু জানতে দ্বারস্থ হন গুগলের। তবে ভুল করেও বোমা তৈরি নিয়ে কিছু জানতে চাইবেন না। তবে সোজা বাড়িতে হাজির হবে পুলিশ। আগ্রহবশত গুগলে যদি ‘how to make a bomb’ বা ‘কী করে বোমা বানাবো’ এরকম সার্চ করেন, তাহলে না চাইতেই বিপদ ডেকে আনবেন জীবনে। এই ধরনের সার্চের জন্য প্রশাসন আপনাকে নিয়ে তদন্ত শুরু করতে পারে এবং আপনি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন বলে মনে করা হতে পারে।
২. চাইল্ড পর্নোগ্রাফি
অনেকেই অ্যাডাল্ড কন্টেন্ট বা পর্নোগ্রাফি সার্চ করেন গুগলে। এটি খুবই বিপজ্জনক। বিশেষ করে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সার্চ করা বা এই সম্পর্কিত কিছু শেয়ার করা অপরাধ। আপনি যদি এটি সার্চ করেন তাহলে গুগলে নিয়ম ও আইন লঙ্ঘনের জন্য আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। বিশ্বের প্রায় সব দেশে শিশু পর্নোগ্রাফি সার্চ করা, দেখা কিংবা সংরক্ষণ করা অপরাধ। তাই এমন কিছু সার্চ একেবারেই এড়িয়ে চলা ভাল।
৩. হ্যাকিং টিউটোরিয়াল
আপনি যদি হ্যাকিং সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য বারবার গুগল সার্চ করেন, তাহলে এই ধরনের সার্চ করায় পুলিশি নজরদারিতে চলে আসে এবং আইটি সেল এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলে, পুলিশ আপনাকে মারধর দিয়ে জেলে নিয়ে যাবে।
৪) কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদানের পদ্ধতি : কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদানের পদ্ধতি ভুলেও গুগল সার্চ করবেন না। এর ফলেও সরকারি নিরাপত্তা সংস্থার নজরে আসতে পারেন। আগ্রহ বশত হলেও How to Join a Terrorist Organisation গুগলে লিখবেন না। তাহলেই জেল নিশ্চিত!