২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে চুপ কেন? ‘নীরব’ মোদিকে খোঁচা তৃণমূলের

মিতা রয়
  • আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার
  • / 10

পুবের কলম ডেস্ক : বাংলায় হিন্দুদের দুর্গাপুজো করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলে বিধানসভার ভোটপ্রচারে এসে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মুণ্ডুপাত করেছিলেন হিন্দুত্বের ধব্জাধারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের গায়ে হিন্দুত্ব বিরোধী তকমা সেঁটে দিয়ে ধর্মের তাস খেলে বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মোদির সেই কৌশল মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে চলা হিন্দুদের উপরে নির্যাতন নিয়ে হিন্দুত্বের পোস্টার বয় প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা খোঁচা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম করে তিনি কেন নিষ্ক্রিয়, যেমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তেমনই প্রথম পাতায় ‘অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাংলাদেশেও, শকুনের রাজনীতি বিজেপির’ শীর্ষক খবরেও তুলোধনা করা হয়েছে বিজেপিকে।

নিজেকে কথায়-কথায় ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিভূ হিসেবে যিনি জাহির করেন সেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনের চোখের সামনেই দুর্গাপুজোর সময়ে একাধিক পুজোমণ্ডপ, মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরও। বাংলাদেশজুড়ে দুর্গাপুজোর সময়ে যে ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দলীয় মুখপত্রে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ নামাঙ্কিত সম্পাদকীয়র শুরুতেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে পুজোর সময়ে যা ঘটেছে তা অন্যায়। পরিকল্পিত চক্রান্ত। এর সঙ্গে সাধারণ হিন্দু-মুসলমানের কোনও সম্পর্ক নেই। কারা কেন এই ষড়যন্ত্র করেছে বোঝা যায়। তদন্ত হোক। এটা ঘটনা যে এতে সেখানকার সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। কিন্তু এটাও ঘটনা যে হাসিনা সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আরও আশার কথা যে, বাংলাদেশেই এই হামলার প্রতিবাদে মিটিং, মিছিল, মহামিছিল হচ্ছে। একাধিক মুসলিম সংগঠন এগিয়ে এসেছে প্রতিবাদে। কয়েকটি মিছিল দেখলে আশা জাগছে, ভরসা থাকছে। এটাই বাংলাদেশের হৃদয়।’

তার পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তুলোধনা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘আমরা বিস্মিত, ভারতের যে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার অঙ্কে বাংলাদেশে পুজো দিতে গিয়ে প্রচার সারলেন, তিনি প্রথম থেকে নিষ্ক্রিয় কেন? নাকি বাংলাদেশের হিন্দুনিগ্রহ দেখাতে পারলেন, সেই সুড়সুড়ি দিয়ে এই বাংলায় হিন্দু-আবেগ উসকে ভোট করার চেষ্টা? বাংলাদেশের ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চাই।’

Tag :

প্রতিবেদক

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে চুপ কেন? ‘নীরব’ মোদিকে খোঁচা তৃণমূলের

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ডেস্ক : বাংলায় হিন্দুদের দুর্গাপুজো করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলে বিধানসভার ভোটপ্রচারে এসে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মুণ্ডুপাত করেছিলেন হিন্দুত্বের ধব্জাধারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের গায়ে হিন্দুত্ব বিরোধী তকমা সেঁটে দিয়ে ধর্মের তাস খেলে বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মোদির সেই কৌশল মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে চলা হিন্দুদের উপরে নির্যাতন নিয়ে হিন্দুত্বের পোস্টার বয় প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা খোঁচা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম করে তিনি কেন নিষ্ক্রিয়, যেমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তেমনই প্রথম পাতায় ‘অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাংলাদেশেও, শকুনের রাজনীতি বিজেপির’ শীর্ষক খবরেও তুলোধনা করা হয়েছে বিজেপিকে।

নিজেকে কথায়-কথায় ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিভূ হিসেবে যিনি জাহির করেন সেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনের চোখের সামনেই দুর্গাপুজোর সময়ে একাধিক পুজোমণ্ডপ, মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরও। বাংলাদেশজুড়ে দুর্গাপুজোর সময়ে যে ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দলীয় মুখপত্রে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ নামাঙ্কিত সম্পাদকীয়র শুরুতেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে পুজোর সময়ে যা ঘটেছে তা অন্যায়। পরিকল্পিত চক্রান্ত। এর সঙ্গে সাধারণ হিন্দু-মুসলমানের কোনও সম্পর্ক নেই। কারা কেন এই ষড়যন্ত্র করেছে বোঝা যায়। তদন্ত হোক। এটা ঘটনা যে এতে সেখানকার সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। কিন্তু এটাও ঘটনা যে হাসিনা সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আরও আশার কথা যে, বাংলাদেশেই এই হামলার প্রতিবাদে মিটিং, মিছিল, মহামিছিল হচ্ছে। একাধিক মুসলিম সংগঠন এগিয়ে এসেছে প্রতিবাদে। কয়েকটি মিছিল দেখলে আশা জাগছে, ভরসা থাকছে। এটাই বাংলাদেশের হৃদয়।’

তার পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তুলোধনা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘আমরা বিস্মিত, ভারতের যে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার অঙ্কে বাংলাদেশে পুজো দিতে গিয়ে প্রচার সারলেন, তিনি প্রথম থেকে নিষ্ক্রিয় কেন? নাকি বাংলাদেশের হিন্দুনিগ্রহ দেখাতে পারলেন, সেই সুড়সুড়ি দিয়ে এই বাংলায় হিন্দু-আবেগ উসকে ভোট করার চেষ্টা? বাংলাদেশের ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চাই।’