পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্যসভায় পেশ হল ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট। মাত্র ১৪টি ধারায় ২৫টি সংশোধনী-সহ রাজ্যসভায় পেশ হল ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট। বিরোধীদের প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। এদিন বিজেপি রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ মেধা বিশ্বরাম কুলকার্নি রিপোর্টটি পেশ করেন।
উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যসভায় যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC ) রিপোর্ট পেশ করার প্রাক মুহূর্তে আপত্তি জানাতে শুরু করেন বিরোধীরা। কেন রিপোর্টে ‘ডিসেন্ট নোট’ রাখা হল না? প্রশ্ন উত্থাপণ করেই শুরু হয় স্লোগান। মূলত যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের ভূমিকা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল-সহ বিরোধী শিবিরে। তুমুল হট্টগোলের জেরে মিনিট দশেকের জন্য অধিবেশন মুলতুবিও করে দেন চেয়ারম্যান ধনকড়। পরে অধিবেশন চালু হওয়ার পর বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন চেয়ারম্যান।
জেপিসির চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার পরই এদিন আপত্তি জানান কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) সহ অনেকেই। তিনি বলেন, ওয়াকফ বিলের একাধিক ধারা নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি জানিয়ে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ দিয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্টে সেগুলি রাখা হয়নি। যদিও সংসদীয় ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান, সেরকম কিছুই হয়নি। বিরোধীদের আপত্তিপত্র বা ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ পুরোটাই যোগ করা হবে।
১) বিরোধীদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গত ৮ আগষ্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
২) বিলটি ‘অসংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা।
৩) গত ৩০ ডিসেম্বর জেপিসির বৈঠকে ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত ওয়াকফ বিল সংশোধনী সংক্রান্ত রিপোর্ট পাশ হয়। ৩১ ডিসেম্বর ওই রিপোর্ট স্পিকারের হাতে তুলে দেন জেপিসি চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল।
৪) ওয়াকফ বিল নিয়ে জেপিসির মোট ৩৮টি বৈঠক হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত প্রায় ২৫০টি পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়েছে বলে দাবি সরকার পক্ষের।
৫) এদিন মাত্র ১৪টি ধারায় ২৫টি সংশোধনী-সহ রাজ্যসভায় পেশ হয় ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট।
২০২২ সালে মঞ্চে ছুরিকাঘাত, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন রুশদি