নয়াদিল্লি: প্রযুক্তি-দুনিয়াতে আলোচিত এক নাম ‘ডিপসিক’। সম্প্রতি চিনের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটবট নিয়ে চইচই শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বে। বিশ্লেষকদের মতে, ডিপসিক এআইয়ের কর্মক্ষমতা এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটি, জেমিনি ও ক্লডের মতো বিভিন্ন এআই মডেলকে পেছনে ফেলেছে ঠিকই কিন্তু এই অ্যাপের গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্নও আছে।ভারতও এই চিনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে এর আগেই। আসলে ডিপসিক এআইয়ের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোডিংয়ে এমন প্রোগ্রামিং করা আছে যা ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য চিন সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থায় পাঠাচ্ছে।
আর বুধবার তথ্য গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে এই চিনা এআই চ্যাটবট ডিপসিকের অ্যাক্সেস ব্লক করার জন্য দায়ের করা একটি মামলার আবেদনের বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ বলেছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি বিপজ্জনক হাতিয়ার। তা আমেরিকার তৈরি বা চীনের তৈরিই হোক না কেন। তাতে কিছু যায় আসে না। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে, বিচারপতি গেদেলা মন্তব্য করেছেন, ‘এআই যে কারও হাতেই একটি বিপজ্জনক অস্ত্র, তা সে চিনা হোক বা আমেরিকান; এটা কোন ব্যাপার না। সরকার যে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত নয় তা কিন্তু নয়। তারা এটা খুব ভালো করেই জানে।’
ডিপসিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে প্ল্যাটফর্মটি চালু হওয়ার পর থেকেই এর গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে।