BREAKING:
রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে রাজ্য সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। বৃহস্পতিবারের মেগা বৈঠকের আগেই রবিবার একান্ত আলোচনায় মমতা-অভিষেক বিরাট মরুদ্যানে ভারত উদয় গাজায় আর কতজন জিম্মি আছেন? সাংসদ রকিবুল হোসেনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাল অসম রাজ্যিক জমিয়ত উলামা মহারাষ্ট্রে রমযান মাসে সরকারি কর্মীদের ১ ঘন্টা আগে ছুটি দেওয়ার দাবি মুম্বইয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ হিন্দি ভাষা চাপানো নিয়ে তপ্ত হচ্ছে তামিলনাড়ু সউদিতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা খলিমুদ্দিন শেখের, দেড় মাস পর বাড়িতে ফিরল লাশ ইএম বাইপাসকে নির্বিঘ্নে সচল রাখতে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

লাভ জিহাদ আইন সংবিধান বিরোধী, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর আক্রমণ: আবু আজমি

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

লখনউ: মহারাষ্ট্র সরকার লাভ জিহাদ এবং ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনতে চলেছে। মহারাষ্ট্র সরকার সাত সদস্যের একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রশ্মি শুক্লা। এই কমিটির লক্ষ্য আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরûণ সম্পর্কিত সমস্যা মোকাবিলা করা। এ ছাড়া কমিটির প্রধান কাজ হল ‘লাভ জিহাদ’ সম্পর্কিত আইনি ও প্রযুক্তিগত দিকগুলি পর্যালোচনা করা এবং একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে তা রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া। পুলিশ ডিজিপি ছাড়াও এই কমিটিতে স্বরাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এই কমিটি প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরের সমস্যার সমাধানের পরামর্শও দেবে। কমিটি অন্যান্য রাজ্যে প্রযোজ্য আইনগুলিও অধ্যয়ন করবে এবং ‘লাভ জিহাদ’ মোকাবিলার জন্য একটি আইনি খসড়া তৈরি করবে। কমিটির প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপনের পর এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হবে। মহারাষ্ট্র সরকার বিশ্বাস করে যে এই আইনের মাধ্যমে মানুষ লাভ জিহাদের নামে নৃশংসতা থেকে রক্ষা পাবে।
তবে সমাজবাদী পার্টির মহারাষ্ট্র ইউনিটের সভাপতি এবং বিধায়ক আবু আজমি সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন। আবু আজমি মহারাষ্ট্র সরকারের এই প্রচেষ্টাকে সংবিধান এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি স্বেচ্ছাচারিতার একটি পদ্ধতি; এভাবে স্বাধীনতা সীমিত করা হচ্ছে। তারা যদি আইন করতে চায়, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই কিন্তু এটি সংবিধানের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি যে মুসলিম ছেলেরাও হিন্দুধর্ম গ্রহণ করছে, মুসলিম মেয়েরাও হিন্দু ছেলেদের বিয়ে করছে। যদি সংবিধানে প্রদত্ত অধিকারের অধীনে এই সব ঘটছে, তাহলে এতে দোষের কী? সরকার এই বিষয়ে আইন তৈরি করছে তা ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা, যা দেশের সংবিধানের পরিপন্থী।’
উল্লেখযোগ্য যে দেশের নয়টি রাজ্য ইতিমধ্যেই ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইন কার্যকর করেছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ে এই ধরনের আইন বিদ্যমান। বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী নীতেশ রানে এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনও রাজ্যে ‘লাভ জিহাদ’ আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সম্প্রতি বিধানসভায় ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ফড়নবিশ বলেন, রাজ্যে ধর্মান্তরণের বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder