পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক বিরোধী উভয় শিবিরেই সাজো সাজো রব। এরই মধ্যে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই রাজ্য সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচনের আগে এই সম্মেলন থেকে জোড়াফুল শিবিরের সাংগঠনিক রদবদল শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে রাজ্যের শাসকদলের সংগঠন কলেবরে অনেক বড় হয়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে গোষ্ঠীকোন্দলও। যা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্য সভায় থেকে বারবার কড়া বার্তা দিয়েছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবারই সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে এলেও ফের মাথা চাড়া দিয়েছে কোন্দল। এরই মধ্যে ভোট কুশলী সংস্থা আইপ্যাক নিয়েও সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে নানা কথা শোনা যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে হতে চলেছে তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলন। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় ওই সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনে যোগ দেবেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতা-নেত্রীরা। তার আগে আগামিকাল (সোমবার) তৃণমূল ভবনে ডাকা হয়েছে প্রস্তুতি বৈঠক। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের রাজ্য সম্মেলন থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে সবাই।
উল্লেখ্য, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তৃণমূল ও বিজেপি। জয় নিশ্চিত ও অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এবার আগেভাগেই মাঠে নেমেছে শাসক দল। এবারের বৈঠকে আগামী দিনে দলকে কীভাবে আরও সংগঠিত করা হবে, কীভাবে দল আরও শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াবে, পারস্পরিক দ্বন্দ্বগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাজ্যের সমস্ত আসনেই জেতা যায় সেব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আরজিকরের ঘটনার পর থেকেই সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল। তবে দিন যত এগিয়েছে ততই ড্যামেজ কন্ট্রোল করে ফেলেছে তৃণমূল। এদিকে বিগতদিনে দুর্নীতির অভিযোগ যে নেতারা জেলবন্দি ছিলেন তাদের অনেকেই এখন জামিনে মুক্ত। আবাস যোজনা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জেরে বঙ্গবাসীর মন জয় করে ফেলেছে শাসকদল। এমনকি ঘৃণ্যভাষণ ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে রাজ্যে বেজায় চাপে রয়েছে বিজেপি।