ইয়াহ ইয়া আহমদ, গুয়াহাটি: ‘একজন সাংসদের যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’ প্রশ্ন রাজ্যিক জমিয়তের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্বেখ মাওলানা মাহমদুল হাসানের।প্রকাশ্য দিবালোকে কংগ্রেস সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী রকিবুল হোসেনের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গোটা রাজ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে অসম রাজ্যিক জমিয়ত উলামা। উল্লেখ্য,অসম রাজ্যিক জমিয়ত উলামার প্রতিটি জেলা কমিটির তরফে আলাদা আলাদাভাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করে সাংসদ রকিবুল হোসেনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে রবিবার শিলচরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জমিয়ত নেতারা বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধির ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ সংকেত। যদি একজন সাংসদ হয়ে সুরক্ষিত না থাকেন, তবে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়?’ এমন প্রশ্ন তুলেন কাছাড় জেলা জমিয়তের নেতারা। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। কাছাড় জেলা জমিয়ত উলামার কর্মকর্তারা আরও বলেন, এ ঘটনায় রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তারা অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং DGP-র প্রতি অনুরোধ জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে কাছাড় জেলা জমিয়তের সভাপতি ও অসম রাজ্য জমিয়ত উলামার ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্বেখ মাওলানা মাহমদুল হাসান এই হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তুলেন, অসমে একজন সাংসদের যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলা জমিয়ত উলামার দুই সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ লস্কর, বদরুল ইসলাম বড়লস্কর, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাজ বড়ভূইয়া, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ তইবুর রাহমান লস্কর এবং দুই জেলা সম্পাদক যথাক্রমে মাওলানা মাসুম আহমদ লস্কর ও মাওলানা শাহিদ আহমদ লস্কর। তারা বলেন, ‘একজন সাংসদ, তাঁর দুই দেহরক্ষী এবং পুত্রের ওপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা চরম নিন্দনীয়। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’