১৩ মার্চ বাংলাদেশ আসছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব

- আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 14
ইউনূসকে চিঠি গুতেরেসের
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। আগামী ১৩ মার্চ তিনি ঢাকা পৌঁছবেন বলে বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তিনি থাকবেন ১৬ মার্চ পর্যন্ত। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব এই সফরে আসছেন।
রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তোনিও গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন বলে তার কার্যালয় নিশ্চিত করেছে। বুধবার নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এই তথ্য জানিয়েছে। তবে বিস্তারিত সূচি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে দেখা করে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন তার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান। গত ২২ জানুয়ারি সুইৎজারল্যান্ডের ডাভোসে গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ইউনূসের।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন ধরে রাখতে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গুতেরেস। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পাঠানো একটি চিঠিতে এই প্রতিশ্রুতি দেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই চিঠি পাঠান তিনি। নিপীড়নের মুখে মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।
এই রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে নিতে মায়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে কোনও ফল এখনও আসেনি।
ড. ইউনূসকে লেখা চিঠিতে গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে এবং মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের কারণ তিনি উপলব্ধি করতে পারেন।
গুতেরেস বলেছেন, তাঁর কার্যালয় এবং মায়ানমারে তার বিশেষ প্রতিনিধি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের পথ খুঁজতে আশিয়ান জোট-সহ আঞ্চলিক পক্ষগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে, যাতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে তাদের আবাস ভূমিতে নিরাপদে ফিরতে পারে।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব হিসাবে আন্তেনিও গুতেরেস ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরের সময়ও রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেবার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা মায়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছি। আমাদের এই চাপ আরও বাড়াতে হবে যাতে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে কী করা উচিত, তা মায়ানমার বুঝতে পারে।’