১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোযার মধ্যেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিল ইসরাইল

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২৫, রবিবার
  • / 18

গাজা: পবিত্র রমযানে নৃশংসতা কমল না যায়নবাদী ইসরাইলের। ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। রবিবার এই ঘোষণা দিয়ে দেশটি বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। ইসরাইলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, ‘গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির ঘোরতর লঙ্ঘন।’
ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। প্রথম দফার এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাস এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি হলে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে নিজেদের কাছে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। ওই হুঁশিয়ারি দেওয়ার আগে আজই ইসরাইল বলেছে, পবিত্র রমযান মাস এবং ইহুদিদের পাসওভার উৎসব উপলক্ষে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে সমর্থন করে তারা। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের তরফে এ প্রস্তাব এসেছে।
প্রস্তাবে হামাসকে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের অর্ধেককে বর্ধিত মেয়াদে যুদ্ধবিরতি শুরুর প্রথম দিনই এবং অবশিষ্টদের স্থায়ী যুদ্ধিবিরতিতে পৌঁছানোর পর মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর বা কাতারের তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানা যায়নি। দেশগুলো ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, এ বিষয়ে ইসরাইল সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। চার ঘণ্টার বৈঠকের পর সরকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়। গত শুক্রবার রাতে হামাস বলে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হবে, এমন নিশ্চয়তা ছাড়া তারা প্রথম ধাপের কোনো সম্প্রসারণে সম্মত হবে না।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রোযার মধ্যেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিল ইসরাইল

আপডেট : ২ মার্চ ২০২৫, রবিবার

গাজা: পবিত্র রমযানে নৃশংসতা কমল না যায়নবাদী ইসরাইলের। ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। রবিবার এই ঘোষণা দিয়ে দেশটি বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। ইসরাইলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, ‘গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির ঘোরতর লঙ্ঘন।’
ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। প্রথম দফার এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাস এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি হলে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে নিজেদের কাছে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। ওই হুঁশিয়ারি দেওয়ার আগে আজই ইসরাইল বলেছে, পবিত্র রমযান মাস এবং ইহুদিদের পাসওভার উৎসব উপলক্ষে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে সমর্থন করে তারা। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের তরফে এ প্রস্তাব এসেছে।
প্রস্তাবে হামাসকে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের অর্ধেককে বর্ধিত মেয়াদে যুদ্ধবিরতি শুরুর প্রথম দিনই এবং অবশিষ্টদের স্থায়ী যুদ্ধিবিরতিতে পৌঁছানোর পর মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর বা কাতারের তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানা যায়নি। দেশগুলো ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, এ বিষয়ে ইসরাইল সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। চার ঘণ্টার বৈঠকের পর সরকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়। গত শুক্রবার রাতে হামাস বলে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হবে, এমন নিশ্চয়তা ছাড়া তারা প্রথম ধাপের কোনো সম্প্রসারণে সম্মত হবে না।