১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খড়গপুর অবৈধ জবরদখল, রেলের বাংলো ছাড়ার নোটিশ দিলীপ ঘোষকে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 29

পুবের কলম প্রতিবেদক, খড়গপুর: খড়গপুর রেলের ৬৭৭ নম্বর বাংলো এবার ছেড়ে দিতে হবে প্রাক্তন মেদিনীপুর সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। ২০১৭ সাল থেকে এই সরকারি বাংলোতেই বসবাস করছিলেন তিনি। এতদিন পর্যন্ত দাবি ছিল, দিলীপবাবু তার ‘বন্ধু’ তুষারকান্তি ঘোষের অনুমতিতেই সেখানে থাকছেন, কিন্তু রেলের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, বাংলোটি অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রেলের পক্ষ থেকে ৬৭৭ নম্বর বাংলোর দেওয়ালে একটি নোটিস সাঁটিয়ে জানানো হয়, অবিলম্বে বাংলো খালি করতে হবে। খড়গপুর ডিভিশনের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালের মার্চেই বাংলোর বরাদ্দের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপরও তিনি নিজের দখলে রেখে দেন বাংলোটি এবং দিলীপ ঘোষ সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
রেলের তরফে তুষারকান্তিকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির হয়ে এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

 

অভিযোগের কেন্দ্রে থাকা এই সরকারি বাংলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক ও রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বহুবার রেলের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল যে, বাংলোটি অবৈধভাবে দখল করা আছে।

 

গত ৪ এপ্রিল তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরীর করা একটি আরটিআইয়ের উত্তরে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। ওই দিনই ডিআরএম কে আর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ‘আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

কেউ নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়।’ তারই পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে রেলের তরফে সরাসরি নোটিশ পাঠানো হলো এবং কার্যত চাপে পড়লেন তুষারকান্তি ও দিলীপ ঘোষ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খড়গপুর অবৈধ জবরদখল, রেলের বাংলো ছাড়ার নোটিশ দিলীপ ঘোষকে

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, খড়গপুর: খড়গপুর রেলের ৬৭৭ নম্বর বাংলো এবার ছেড়ে দিতে হবে প্রাক্তন মেদিনীপুর সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। ২০১৭ সাল থেকে এই সরকারি বাংলোতেই বসবাস করছিলেন তিনি। এতদিন পর্যন্ত দাবি ছিল, দিলীপবাবু তার ‘বন্ধু’ তুষারকান্তি ঘোষের অনুমতিতেই সেখানে থাকছেন, কিন্তু রেলের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, বাংলোটি অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রেলের পক্ষ থেকে ৬৭৭ নম্বর বাংলোর দেওয়ালে একটি নোটিস সাঁটিয়ে জানানো হয়, অবিলম্বে বাংলো খালি করতে হবে। খড়গপুর ডিভিশনের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালের মার্চেই বাংলোর বরাদ্দের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপরও তিনি নিজের দখলে রেখে দেন বাংলোটি এবং দিলীপ ঘোষ সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
রেলের তরফে তুষারকান্তিকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির হয়ে এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

 

অভিযোগের কেন্দ্রে থাকা এই সরকারি বাংলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক ও রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বহুবার রেলের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল যে, বাংলোটি অবৈধভাবে দখল করা আছে।

 

গত ৪ এপ্রিল তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরীর করা একটি আরটিআইয়ের উত্তরে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। ওই দিনই ডিআরএম কে আর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ‘আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

কেউ নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়।’ তারই পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে রেলের তরফে সরাসরি নোটিশ পাঠানো হলো এবং কার্যত চাপে পড়লেন তুষারকান্তি ও দিলীপ ঘোষ।