১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি, নয়া শুল্ক-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 23

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবারের ঘোষণা ঘিরে তৈরি হওয়া ‘গুজব’ উড়িয়ে জানিয়েছেন, শুল্কের ক্ষেত্রে কোনও দেশই রেহাই পায়নি। এমনকি, চিনা ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শুল্ক এখনও বহাল রয়েছে, তবে সেগুলো এখন ‘ভিন্ন শুল্ক শ্রেণিতে’ রাখা হয়েছে। একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ট্রাম্প বলেন, শুক্রবার কোনও শুল্ক অব্যাহতির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ট্রাম্প জানান, চিনের ইলেকট্রনিক পণ্যে এখনও সেই ২০ শতাংশ শুল্কই আরোপিত রয়েছে, যা মূলত ফেন্টানাইল-সংশ্লিষ্ট কারণে প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, চিনা কর্পোরেশনগুলো জেনেশুনেই এমন গোষ্ঠীগুলোকে উপকরণ সরবরাহ করছে, যারা প্রাণঘাতী কৃত্রিম মাদক ফেন্টানাইল তৈরি করে এবং যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সংকট তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি, আমাদের নিজ দেশে পণ্য উৎপাদন করা দরকার। চিনের মতো ‘শত্রুভাবাপন্ন বাণিজ্যিক দেশগুলোর হাতে জিম্মি’ হওয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্যই এই পদক্ষেপ জরুরি বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

গত বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করছেন। তবে তার প্রশাসন পরে জানায়, এই ১২৫ শতাংশের সঙ্গে আগে থেকে আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কও যুক্ত থাকছে। ফলে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ১৪৫ শতাংশে।

এদিকে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ভুল সংশোধন করে নেওয়ার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বড় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। পাল্টা শুল্কের ভুল ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করুন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের সঠিক পথে ফিরে আসুন।’

২ এপ্রিল বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ৯ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের ওই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প শুল্কারোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। তবে ব্যতিক্রম চিন।

সোমবার বেজিং জানিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চে চিন সবচেয়ে বেশি পণ্য রফতানি করেছে আমেরিকায়। প্রায় ১১৫.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য সে দেশে রফতানি করেছে তারা। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় নয় লক্ষ কোটি টাকা। চিনা সংস্থা পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিয়েই ঝাং জানিয়েছেন, এই পরিসংখ্যান আমেরিকার শুল্ক চাপানোর আগে চিনের রফতানির হার প্রকাশ করেছে। তাঁর মতে, নতুন শুল্ক চাপানোর ফলে চিনের রফতানির হার অনেকটাই ধাক্কা খাবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি, নয়া শুল্ক-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবারের ঘোষণা ঘিরে তৈরি হওয়া ‘গুজব’ উড়িয়ে জানিয়েছেন, শুল্কের ক্ষেত্রে কোনও দেশই রেহাই পায়নি। এমনকি, চিনা ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শুল্ক এখনও বহাল রয়েছে, তবে সেগুলো এখন ‘ভিন্ন শুল্ক শ্রেণিতে’ রাখা হয়েছে। একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ট্রাম্প বলেন, শুক্রবার কোনও শুল্ক অব্যাহতির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ট্রাম্প জানান, চিনের ইলেকট্রনিক পণ্যে এখনও সেই ২০ শতাংশ শুল্কই আরোপিত রয়েছে, যা মূলত ফেন্টানাইল-সংশ্লিষ্ট কারণে প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, চিনা কর্পোরেশনগুলো জেনেশুনেই এমন গোষ্ঠীগুলোকে উপকরণ সরবরাহ করছে, যারা প্রাণঘাতী কৃত্রিম মাদক ফেন্টানাইল তৈরি করে এবং যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সংকট তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি, আমাদের নিজ দেশে পণ্য উৎপাদন করা দরকার। চিনের মতো ‘শত্রুভাবাপন্ন বাণিজ্যিক দেশগুলোর হাতে জিম্মি’ হওয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্যই এই পদক্ষেপ জরুরি বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

গত বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করছেন। তবে তার প্রশাসন পরে জানায়, এই ১২৫ শতাংশের সঙ্গে আগে থেকে আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কও যুক্ত থাকছে। ফলে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ১৪৫ শতাংশে।

এদিকে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ভুল সংশোধন করে নেওয়ার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বড় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। পাল্টা শুল্কের ভুল ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করুন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের সঠিক পথে ফিরে আসুন।’

২ এপ্রিল বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ৯ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের ওই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প শুল্কারোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। তবে ব্যতিক্রম চিন।

সোমবার বেজিং জানিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চে চিন সবচেয়ে বেশি পণ্য রফতানি করেছে আমেরিকায়। প্রায় ১১৫.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য সে দেশে রফতানি করেছে তারা। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় নয় লক্ষ কোটি টাকা। চিনা সংস্থা পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিয়েই ঝাং জানিয়েছেন, এই পরিসংখ্যান আমেরিকার শুল্ক চাপানোর আগে চিনের রফতানির হার প্রকাশ করেছে। তাঁর মতে, নতুন শুল্ক চাপানোর ফলে চিনের রফতানির হার অনেকটাই ধাক্কা খাবে।