রাজ্যের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কমিটি গঠন স্ট্যালিনের

- আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 29
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করতে চাইছেন তামিলনাড়ুর সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সেই কথা জানান। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ। এছাড়াও কমিটিতে থাকছেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার অশোকবর্ধন শেট্টি এবং নাগনাথন।রাজ্যের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করাই এই কমিটির লক্ষ্য। ২০২৬ সালের মধ্যে কমিটিকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা করতে হবে।মঙ্গলবার বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য এই কমিটি বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে। তার পর তারা সুপারিশ করবে। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের ক্ষমতা কী ভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা-ও বিবেচনা করে দেখবে এই কমিটি।”
আরও পড়ুন: ফের এলাহাবাদ হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, আজব যুক্তিতে ধর্ষককে জামিন!
তামিলনাড়ু ঐতিহাসিকভাবে সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি রক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বলে উল্লেখ করেন এম কে স্ট্যালিন। এই কমিটির ফলে কেবল রাজ্যেই নয়, গুজরাট থেকে উত্তর-পূর্ব এবং কাশ্মীর থেকে কেরল সমস্ত রাজ্যই উপকার পাবে বলে জানান তিনি।কমিটির কথা বলার সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবারও তোপ দাগেন স্ট্যালিন। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হন। কেন্দ্র নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে তামিলভূমে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। স্ট্যালিন দাবি করেন, ‘‘এনইপি প্রত্যাখ্যান করায় কেন্দ্র শিক্ষাখাতে রাজ্যের প্রাপ্য আড়াই হাজার কোটি টাকার তহবিল আটকে রেখেছে।’’
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত হয়েছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। তাঁর বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে স্ট্যালিন সরকার। গত ৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। তামিলনাড়ু সরকারের পাশ করানো ১০টি বিলে রাজ্যপাল সম্মতি না-দেওয়ায় সেগুলি দিনের আলো দেখেনি। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানায়, বিলের কোনও আইনি বিষয়ে আপত্তি থাকলে তা পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাতে পারেন রাজ্যপাল। তবে বিলটি পুরনো আকারেই আবার বিধানসভায় পাশ করানো হলে তাতে রাজ্যপাল সম্মতি দিতে বাধ্য। এ বার রাজ্যের ক্ষমতাবৃদ্ধির কথা শোনা গেল তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।