২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Pope Francis-এর প্রয়াণে বিশ্বনেতাদের শ্রদ্ধা

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 19

মানবতার পাশে দাঁড়ানো নীরব কণ্ঠস্বর

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ৮৮ বছর বয়েসে প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। সোমবার ভ্যাটিকানের একটি ভিডিয়োবার্তায় তাঁর মৃত্যুর কথা জানানো হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিশ্বনেতারা সোশ্যাল মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন । পোপের (Pope Francis) প্রতি শ্রদ্ধা জানানো বিশ্ব নেতাদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। তিনি বলেছেন, ‘এই সহিংসতা ও যুদ্ধের সময়ে, পোপ ছিলেন মানবতার পাশে দাঁড়ানো এক নীরব কণ্ঠস্বর।’  ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পোপ ফ্রান্সিসকে স্মরণ করেছেন “একজন মহান মানুষ, এক সত্যিকারের আত্মিক পথপ্রদর্শক” হিসেবে।

পোপের (Pope Francis) জন্মভূমি আর্জেন্টিনা সরকার গভীর শোক জ্ঞাপন করেছে এই প্রথম আর্জেন্টাইন পোপের প্রয়াণে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “পোপ তাঁর বিনয় ও দরিদ্রদের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে কেবল ক্যাথলিকদেরই নয়, সমগ্র মানবজাতিকে অনুপ্রাণিত করেছেন।” হোয়াইট হাউস এক্সে লিখেছে, “শান্তিতে ঘুমান পোপ ফ্রান্সিস।,”—সঙ্গে ছিল তাঁর সঙ্গে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির সাক্ষাতের একটি ছবি। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, শনিবার পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ।  পোপের মৃত্যু সংবাদে তিনি বলেন,  বলেন, “বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি খ্রিস্টান আজ এক আত্মিক অভিভাবককে হারালেন।”

আরও পড়ুন: Pope Francis-এর মৃত্যুতে শোক CM Mamata Banerjee-র

পোপের (Pope Francis) মৃত্যুে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন “গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা” জানিয়েছেন । এশিয়ার বৃহত্তম ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীর দেশ ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেন, “তিনি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পোপ,” এবং পোপের বিশ্বাস, মানবতা ও দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসার কথা স্মরণ করেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, “পৃথিবীর আর্তনাদ শুনতে এবং আমাদের সম্মিলিত অস্তিত্ব স্মরণ করতে তিনি আমাদের বারবার আহ্বান জানিয়েছেন।” ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, “পোপের (Pope Francis মৃত্যু কেবল ক্যাথলিক সমাজের নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর বিনয়, সহানুভূতি ও মানবসেবার উত্তরাধিকার প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোপের “বৈশ্বিক আধ্যাত্মিক প্রভাবের” প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে। ব্রিটেনের রাজা চার্লস তীব্র শোক জানিয়ে বলেন, পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis “সহানুভূতির প্রতিমূর্তি” ছিলেন, যিনি একতার বার্তা এবং পরিবেশের প্রতি মমত্ববোধ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Pope Francis-এর প্রয়াণে বিশ্বনেতাদের শ্রদ্ধা

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

মানবতার পাশে দাঁড়ানো নীরব কণ্ঠস্বর

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ৮৮ বছর বয়েসে প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। সোমবার ভ্যাটিকানের একটি ভিডিয়োবার্তায় তাঁর মৃত্যুর কথা জানানো হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিশ্বনেতারা সোশ্যাল মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন । পোপের (Pope Francis) প্রতি শ্রদ্ধা জানানো বিশ্ব নেতাদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। তিনি বলেছেন, ‘এই সহিংসতা ও যুদ্ধের সময়ে, পোপ ছিলেন মানবতার পাশে দাঁড়ানো এক নীরব কণ্ঠস্বর।’  ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পোপ ফ্রান্সিসকে স্মরণ করেছেন “একজন মহান মানুষ, এক সত্যিকারের আত্মিক পথপ্রদর্শক” হিসেবে।

পোপের (Pope Francis) জন্মভূমি আর্জেন্টিনা সরকার গভীর শোক জ্ঞাপন করেছে এই প্রথম আর্জেন্টাইন পোপের প্রয়াণে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “পোপ তাঁর বিনয় ও দরিদ্রদের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে কেবল ক্যাথলিকদেরই নয়, সমগ্র মানবজাতিকে অনুপ্রাণিত করেছেন।” হোয়াইট হাউস এক্সে লিখেছে, “শান্তিতে ঘুমান পোপ ফ্রান্সিস।,”—সঙ্গে ছিল তাঁর সঙ্গে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির সাক্ষাতের একটি ছবি। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, শনিবার পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ।  পোপের মৃত্যু সংবাদে তিনি বলেন,  বলেন, “বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি খ্রিস্টান আজ এক আত্মিক অভিভাবককে হারালেন।”

আরও পড়ুন: Pope Francis-এর মৃত্যুতে শোক CM Mamata Banerjee-র

পোপের (Pope Francis) মৃত্যুে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন “গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা” জানিয়েছেন । এশিয়ার বৃহত্তম ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীর দেশ ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেন, “তিনি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পোপ,” এবং পোপের বিশ্বাস, মানবতা ও দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসার কথা স্মরণ করেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, “পৃথিবীর আর্তনাদ শুনতে এবং আমাদের সম্মিলিত অস্তিত্ব স্মরণ করতে তিনি আমাদের বারবার আহ্বান জানিয়েছেন।” ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, “পোপের (Pope Francis মৃত্যু কেবল ক্যাথলিক সমাজের নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর বিনয়, সহানুভূতি ও মানবসেবার উত্তরাধিকার প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোপের “বৈশ্বিক আধ্যাত্মিক প্রভাবের” প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে। ব্রিটেনের রাজা চার্লস তীব্র শোক জানিয়ে বলেন, পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis “সহানুভূতির প্রতিমূর্তি” ছিলেন, যিনি একতার বার্তা এবং পরিবেশের প্রতি মমত্ববোধ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।