২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

saddam hussein birthday: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের জন্মবার্ষিকী আজ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 43

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের জন্মদিন আজ (saddam hussein birthday)। ১৯৩৭ সালের ২৮ এপ্রিল (আজকের দিনে) পূর্ব বাগদাদের তিকরিতে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তাঁর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। সাদ্দাম হুসেন! পুরা নাম সাদ্দাম হুসেন আবু আল মাজিদ আল তিকরিতি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে কঠোর হাতে ইরাক শাসন করেছেন তিনি। ১৯৭৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০০৩ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন ইরাকের রাষ্ট্রপতি।২০০৩ সালের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইরাকে ব্যাপক গণ বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগে সামরিক অভিযান চালায়।

 

৯ এপ্রিল মার্কিন বাহিনী বাগদাদ দখল করে নিলে সাদ্দাম ক্ষমতাচ্যুত হন। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে তাঁর জন্ম স্থান তিকরিত থেকে মার্কিন বাহিনী আটক করে। ২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর ইরাকের উচ্চ আদালতে দুজাইল গ্রামের হত্যাকাণ্ড মামলায় সাদ্দাম হোসেনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।৬৯ বছর বয়সী ইরাকের (saddam hussein birthday )সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ওই বিচারে দোষী সাব্যস্ত করে। পরে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

 

উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে তিনি নিষিদ্ধ বাথ পার্টিতে যোগ দেন। পঞ্চাশের দশকে একবার বাথ পার্টি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৮ সালে সাদ্দাম ইরাকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় সাদ্দাম দৃঢ় ভাবে সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটান। এই উদ্দেশ্যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেন। প্রথমে সাদ্দাম হোসেন জেনারেল আহমেদ হাসান আল বাকরের উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এরপর ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে তিনি ইরাকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হবার পর ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ ও আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন।
আধুনিক ইরাক গড়তে গিয়ে এসময় সাদ্দাম হোসেন ইরাকে এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। এসময়ই সাদ্দাম হোসেন ইরানের সঙ্গে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন (১৯৮০-১৯৮৮)। তার মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মুল করার উদ্যোগ নেন তিনি। এই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল- উপজাতীয় ও ধর্মীয় গোত্রগুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিল। যেমন, ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগণ।

‘অধ্যাত্মবাদ এবং সম্প্রীতি’-র মিলন দিঘার মন্দির বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ইরাক-ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১-এ সাদ্দাম উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯০ সালে তাঁর নির্দেশে ইরাক কুয়েত দখল করে নেয়। ১৯৯১ সালের প্রথম দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী কুয়েত দখল মুক্ত করে।

 

পাশ্চাত্য এবং অনেক ইরাকির চোখে তিনি নিষ্ঠুর একনায়ক আর ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘণকারী রাষ্ট্রনায়ক। যদিও সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো আজও প্রমাণিত হয়নি। প্রহসনের বিচারে সাদ্দামের ফাঁসি তাই ইতিহাসের এক নির্মম ট্রাজেডি (saddam hussein birthday)

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

saddam hussein birthday: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের জন্মবার্ষিকী আজ

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের জন্মদিন আজ (saddam hussein birthday)। ১৯৩৭ সালের ২৮ এপ্রিল (আজকের দিনে) পূর্ব বাগদাদের তিকরিতে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তাঁর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। সাদ্দাম হুসেন! পুরা নাম সাদ্দাম হুসেন আবু আল মাজিদ আল তিকরিতি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে কঠোর হাতে ইরাক শাসন করেছেন তিনি। ১৯৭৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০০৩ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন ইরাকের রাষ্ট্রপতি।২০০৩ সালের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইরাকে ব্যাপক গণ বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগে সামরিক অভিযান চালায়।

 

৯ এপ্রিল মার্কিন বাহিনী বাগদাদ দখল করে নিলে সাদ্দাম ক্ষমতাচ্যুত হন। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে তাঁর জন্ম স্থান তিকরিত থেকে মার্কিন বাহিনী আটক করে। ২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর ইরাকের উচ্চ আদালতে দুজাইল গ্রামের হত্যাকাণ্ড মামলায় সাদ্দাম হোসেনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।৬৯ বছর বয়সী ইরাকের (saddam hussein birthday )সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ওই বিচারে দোষী সাব্যস্ত করে। পরে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

 

উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে তিনি নিষিদ্ধ বাথ পার্টিতে যোগ দেন। পঞ্চাশের দশকে একবার বাথ পার্টি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৮ সালে সাদ্দাম ইরাকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় সাদ্দাম দৃঢ় ভাবে সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটান। এই উদ্দেশ্যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেন। প্রথমে সাদ্দাম হোসেন জেনারেল আহমেদ হাসান আল বাকরের উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এরপর ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে তিনি ইরাকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হবার পর ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ ও আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন।
আধুনিক ইরাক গড়তে গিয়ে এসময় সাদ্দাম হোসেন ইরাকে এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। এসময়ই সাদ্দাম হোসেন ইরানের সঙ্গে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন (১৯৮০-১৯৮৮)। তার মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মুল করার উদ্যোগ নেন তিনি। এই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল- উপজাতীয় ও ধর্মীয় গোত্রগুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিল। যেমন, ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগণ।

‘অধ্যাত্মবাদ এবং সম্প্রীতি’-র মিলন দিঘার মন্দির বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ইরাক-ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১-এ সাদ্দাম উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯০ সালে তাঁর নির্দেশে ইরাক কুয়েত দখল করে নেয়। ১৯৯১ সালের প্রথম দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী কুয়েত দখল মুক্ত করে।

 

পাশ্চাত্য এবং অনেক ইরাকির চোখে তিনি নিষ্ঠুর একনায়ক আর ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘণকারী রাষ্ট্রনায়ক। যদিও সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো আজও প্রমাণিত হয়নি। প্রহসনের বিচারে সাদ্দামের ফাঁসি তাই ইতিহাসের এক নির্মম ট্রাজেডি (saddam hussein birthday)