পিপলস লিবারেশন আর্মি কী, কেন গঠিত হয়েছিল
- আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, শনিবার
- / 6
পুবের কলম ডেস্ক : মণিপুরে জঙ্গি হামলায় অসম রাইফেলসের একজন ভারতীয় সেনা কমান্ডিং অফিসার এবং তার পরিবারের সঙ্গে কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) আরও তিনজন সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন দেশ৷ এই ঘটনায় কার হাত থাকতে পারে তা নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে৷ সন্দেহের তীর পিপলস লিবারেশন আর্মির দিকে৷ এই অতর্কিত হামলার পেছনে তাদেরকেই দায়ী করছে অনেকে৷ সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম পিপলস লিবারেশন আর্মি৷ পিএলএ-এর প্রতিষ্ঠাতা এন বিশ্বেশ্বর সিং৷ ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮-এ মণিপুরকে ‘মুক্ত’ করার জন্য এবং ভারত থেকে আলাদা করার জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) থেকে বিভক্ত হয়ে এই দল গঠন করেছিলেন। এটি নাগা বিপ্লবীদের স্বাধীনতার লড়াইয়ে যোগ দিতেও নির্দেশ দেয়। মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ ও মাওবাদ এদের আদর্শ৷ এই দলটি চিনাদের সমর্থনে ‘স্বাধীনতার যুদ্ধ’ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করে থাকে৷ এই নীতি নাগা এবং মিজো ‘বিপ্লবীদের’ অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করতে উস্কে দিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশ্বেশ্বর সিং অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা রাজ্য এবং মিজোরাম ও অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত ভারতের পূর্বাঞ্চলকে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্ত করতে চান। এরপর এই অঞ্চলকে ভারতের বাকি অংশকে ‘মুক্ত’ করার ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করতে চান তিনি৷ ১৯৮৯ সালে পিএলএ রেভ্যুলেশনারি পিপলস ফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক সংস্থা গঠন করে। সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টাল অনুসারে, আরপিএফ বাংলাদেশে অবস্থানের মাধ্যমে নির্বাসিত সরকার পরিচালনা করে৷ এরা ভারতে বিদ্রোহী সংগঠনগুলিরও খবর রাখে বিস্তারিত ভাবে৷ এর এখন চারটি বিভাগ রয়েছে, যথা মণিপুর উপত্যকার সদর পার্বত্য পশ্চিম এলাকা, পূর্ব উপত্যকার সদর পার্বত্য এলাকা, মণিপুরের সমগ্র পার্বত্য এলাকা এবং সমগ্র ইম্ফল এলাকা। প্রতিটি ডিভিশনে একজন কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট, সার্জেন্ট এবং ল্যান্স কর্পোরাল রয়েছে। এরা সবাই আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত৷