২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজাব বিতর্ক ইসলামোফোবিয়ার উদাহরণ; মত শিয়া আলেমের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ মার্চ ২০২২, সোমবার
  • / 15

মাওলানা কালবে জাওয়াদ

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক ­:  সুপরিচিত শিয়া ধর্মবেত্তা মাওলানা কালবে জাওয়াদ বলেছেন, হিজাব নিয়ে বিতর্ক ইসলামোফোবিয়ার জ্বলন্ত উদাহরণ৷ কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রায় বহাল রেখেছে নিষিদ্ধ করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট৷ এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মুসলিম সমাজে৷ এ ব্যাপারে এই শিয়া আলেমের মত, মুসলমানদের উচিত যতগুলি সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা৷ যাতে শিক্ষার জন্য তাদের অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।

 

নিজেদের প্রতিষ্ঠানে তখন মুসলিম মেয়ের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সুবিধা পাবে এবং স্বাধীন ভাবে হিজাব পরতে পারবে৷ মজলিস-ই-উলামা-ই-হিন্দের সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদ আরও বলেন যে ‘হিজাব’ শিক্ষা বা পেশার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কোনওদিন। এটি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা আদালতকে সম্মান করি৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে ছাত্রীদের হিজাব সমস্যাটি বোঝার কোনও বাস্তব প্রচেষ্টা আদালতের ছিল না৷
মাওলানা আরও বলেন, হিজাব জীবনের কোনও ক্ষেত্রে বাধা নয়।

 

বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে সামাজিকভাবে এবং প্রকাশ্যে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ শুধুমাত্র মুসলমানদের তা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে৷ এমন হচ্ছে কেন? এই শিয়া ধর্মনেতা মুসলিম ছাত্রীদের স্কুল-কলেজে প্রবেশ করতে এবং হিজাব পরে শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান। এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় ইস্যু উত্থাপনের পরিবর্তে, দেশের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে উন্নীত করা উচিত, বলে মনে করেন প্রসিদ্ধ আলেম।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিজাব বিতর্ক ইসলামোফোবিয়ার উদাহরণ; মত শিয়া আলেমের

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক ­:  সুপরিচিত শিয়া ধর্মবেত্তা মাওলানা কালবে জাওয়াদ বলেছেন, হিজাব নিয়ে বিতর্ক ইসলামোফোবিয়ার জ্বলন্ত উদাহরণ৷ কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রায় বহাল রেখেছে নিষিদ্ধ করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট৷ এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মুসলিম সমাজে৷ এ ব্যাপারে এই শিয়া আলেমের মত, মুসলমানদের উচিত যতগুলি সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা৷ যাতে শিক্ষার জন্য তাদের অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।

 

নিজেদের প্রতিষ্ঠানে তখন মুসলিম মেয়ের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সুবিধা পাবে এবং স্বাধীন ভাবে হিজাব পরতে পারবে৷ মজলিস-ই-উলামা-ই-হিন্দের সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদ আরও বলেন যে ‘হিজাব’ শিক্ষা বা পেশার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কোনওদিন। এটি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা আদালতকে সম্মান করি৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে ছাত্রীদের হিজাব সমস্যাটি বোঝার কোনও বাস্তব প্রচেষ্টা আদালতের ছিল না৷
মাওলানা আরও বলেন, হিজাব জীবনের কোনও ক্ষেত্রে বাধা নয়।

 

বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে সামাজিকভাবে এবং প্রকাশ্যে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ শুধুমাত্র মুসলমানদের তা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে৷ এমন হচ্ছে কেন? এই শিয়া ধর্মনেতা মুসলিম ছাত্রীদের স্কুল-কলেজে প্রবেশ করতে এবং হিজাব পরে শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান। এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় ইস্যু উত্থাপনের পরিবর্তে, দেশের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে উন্নীত করা উচিত, বলে মনে করেন প্রসিদ্ধ আলেম।