Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the login-customizer domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
রোগা হবেন কি ভাবে ? জেনে নিন সহজ উপায় | Puber Kalom
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোগা হবেন কি ভাবে ? জেনে নিন সহজ উপায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, শুক্রবার
  • / 12

মোটা চেহারার জন্য কি আপনি বিব্রত বোধ করেন? অথচ রোগা হওয়ার জন্য কীভাবে এগোবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না? নতুন করে জিম করার কথা ভাবছেন। শুধু জিম করলে হবে না, মানতে হবে আরও কিছু নিয়ম। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া টিপস রইল আপনাদের জন্য। লিখছেন শ্যামলী বন্দোপাধ্যায়।

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  ধরুন, আপনার মতো ওজনদার লোকের হয়তো ১০ কেজি ওজন কমানোর দরকার। আপনি সেই লক্ষ্যেই এগোতে চান। আর প্রতিবার মাপার পরেই মন খারাপ হয়ে যায়। কারণ দাড়িপাল্লার কাটা আগেরবার যেখানে দেখেছিলেন সেই জায়গায় স্থির। আপনি যতই দৌড়ঝাঁপ করুন, তার নড়াচড়ার কোনও লক্ষণই নজরে পড়ে না। আসলে এই ফারাক না দেখার একটা কারণ, বারবার মাপা। কাজেই অন্তত এক সপ্তাহের আগে ওজন মাপবেন না। কোনও নিয়মেই রাতারাতি ওজন কমানো সম্ভব নয়।

অনেকেই দেখেশুনে এমন জায়গায় জিম করার কথা ভাবেন, যেখানে সপ্তাহে কোনোদিন ছুটি থাকে না। সাত দিনই জিম করার সুযোগ থাকে। মজার ব্যাপার হল, আপনি নিজে হাজিরা খাতা পরীক্ষা করলেই দেখবেন গত ২-৩ মাস ধরে কোনও মাসেই ৩০ দিন গিয়ে উঠতে পারেননি। তাহলে আর সাতদিন জিম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী লাভ? তাছাড়াও সাতদিন জিম করলে মন খারাপ লাগতে পারে, ক্লান্ত লাগতে পারে। কাজেই শুরুতে সপ্তাহে ২-৩ বার জিমে যান। তারপর ৪ বার, এভাবে বাড়াতে থাকুন। আর আপনি যদি নিজেকে রোগা ও স্লিম দেখাতে চান তাহলে সপ্তাহে ৫ দিন করে জিম করাই যথেষ্ট।

উপযুক্ত প্রশিক্ষকের অধীনে থেকে জিম করুন। কারণ জিম করার সময়ে অনেক রকম নিয়ম মেনে চলতে হয়। আর সেই নিয়ম সম্পর্কে জানাতে পারেন একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক। কখন কী খেতে হবে, কখন কোন তরল পানীয় বা ডিটক্স করার খাবার খেতে হবে সব বিষয়ে তিনি গাইড করতে পারবেন।

টিভি দেখা হোক বা মোবাইল, এর জন্য দিনে এক ঘণ্টার বেশি সময় একেবারেই খরচ করা যাবে না। আর যাঁদের কম্পিউটারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হয় তাদের এই সময়ও কমাতে হবে। একান্তই টিভি দেখতে হলে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়েই দেখুন। আর টিভি কিংবা মোবাইল দেখতে দেখতে কখনওই খাবেন না।

বদ অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। যেমন ধূমপান, খুব তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া বা বসার ভঙ্গিমা ঠিক না থাকা, এসবও ওজন কমাতে বাধা দেয়।রাতের ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে হয় সে দিকেও নজর দিতে হবে। রাতে ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম হওয়াও ওজন বাড়ার একটা কারণ। কাজেই রাত জেগে ফেসবুক বা হোয়াটসআপ না করে ঠিক সময় ঘুমোতে যান।সকালের জলখাবার ঠিক সময়ে খান। ওজন কমানোর জন্য এর ভূমিকা খুব বেশি।

ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে। একদিকে রোগা হওয়ার জন্য জিম করছেন আর অন্যদিকে খাওয়ার ব্যাপারে লাগামছাড়া হলে ওজন কমবে কী করে? বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, কেক, পিঠে বা নলেন গুড়ের পায়েস এসবে নিয়ন্ত্রণ না আনলে শুধু জিম খুব বেশি ওজন কমাতে পারবে এমন আশা না করাই ভালো। কাজেই ডায়েট এমন হবে যাতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে কিন্তু প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। স্বাভাবিক খাবার খান আর প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন। সবচেয়ে ভালো হয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলস সব পরিমাণ মতো থাকলে।

একটু বেশিক্ষণ বা ভারী এক্সারসাইজ করা যেমন সাইকেল চালানো, জগিং বা দৌড়নোর পর হাই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে পারেন। প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াও খুব জরুরি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রোগা হবেন কি ভাবে ? জেনে নিন সহজ উপায়

আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, শুক্রবার

মোটা চেহারার জন্য কি আপনি বিব্রত বোধ করেন? অথচ রোগা হওয়ার জন্য কীভাবে এগোবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না? নতুন করে জিম করার কথা ভাবছেন। শুধু জিম করলে হবে না, মানতে হবে আরও কিছু নিয়ম। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া টিপস রইল আপনাদের জন্য। লিখছেন শ্যামলী বন্দোপাধ্যায়।

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  ধরুন, আপনার মতো ওজনদার লোকের হয়তো ১০ কেজি ওজন কমানোর দরকার। আপনি সেই লক্ষ্যেই এগোতে চান। আর প্রতিবার মাপার পরেই মন খারাপ হয়ে যায়। কারণ দাড়িপাল্লার কাটা আগেরবার যেখানে দেখেছিলেন সেই জায়গায় স্থির। আপনি যতই দৌড়ঝাঁপ করুন, তার নড়াচড়ার কোনও লক্ষণই নজরে পড়ে না। আসলে এই ফারাক না দেখার একটা কারণ, বারবার মাপা। কাজেই অন্তত এক সপ্তাহের আগে ওজন মাপবেন না। কোনও নিয়মেই রাতারাতি ওজন কমানো সম্ভব নয়।

অনেকেই দেখেশুনে এমন জায়গায় জিম করার কথা ভাবেন, যেখানে সপ্তাহে কোনোদিন ছুটি থাকে না। সাত দিনই জিম করার সুযোগ থাকে। মজার ব্যাপার হল, আপনি নিজে হাজিরা খাতা পরীক্ষা করলেই দেখবেন গত ২-৩ মাস ধরে কোনও মাসেই ৩০ দিন গিয়ে উঠতে পারেননি। তাহলে আর সাতদিন জিম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী লাভ? তাছাড়াও সাতদিন জিম করলে মন খারাপ লাগতে পারে, ক্লান্ত লাগতে পারে। কাজেই শুরুতে সপ্তাহে ২-৩ বার জিমে যান। তারপর ৪ বার, এভাবে বাড়াতে থাকুন। আর আপনি যদি নিজেকে রোগা ও স্লিম দেখাতে চান তাহলে সপ্তাহে ৫ দিন করে জিম করাই যথেষ্ট।

উপযুক্ত প্রশিক্ষকের অধীনে থেকে জিম করুন। কারণ জিম করার সময়ে অনেক রকম নিয়ম মেনে চলতে হয়। আর সেই নিয়ম সম্পর্কে জানাতে পারেন একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক। কখন কী খেতে হবে, কখন কোন তরল পানীয় বা ডিটক্স করার খাবার খেতে হবে সব বিষয়ে তিনি গাইড করতে পারবেন।

টিভি দেখা হোক বা মোবাইল, এর জন্য দিনে এক ঘণ্টার বেশি সময় একেবারেই খরচ করা যাবে না। আর যাঁদের কম্পিউটারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হয় তাদের এই সময়ও কমাতে হবে। একান্তই টিভি দেখতে হলে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়েই দেখুন। আর টিভি কিংবা মোবাইল দেখতে দেখতে কখনওই খাবেন না।

বদ অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। যেমন ধূমপান, খুব তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া বা বসার ভঙ্গিমা ঠিক না থাকা, এসবও ওজন কমাতে বাধা দেয়।রাতের ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে হয় সে দিকেও নজর দিতে হবে। রাতে ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম হওয়াও ওজন বাড়ার একটা কারণ। কাজেই রাত জেগে ফেসবুক বা হোয়াটসআপ না করে ঠিক সময় ঘুমোতে যান।সকালের জলখাবার ঠিক সময়ে খান। ওজন কমানোর জন্য এর ভূমিকা খুব বেশি।

ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে। একদিকে রোগা হওয়ার জন্য জিম করছেন আর অন্যদিকে খাওয়ার ব্যাপারে লাগামছাড়া হলে ওজন কমবে কী করে? বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, কেক, পিঠে বা নলেন গুড়ের পায়েস এসবে নিয়ন্ত্রণ না আনলে শুধু জিম খুব বেশি ওজন কমাতে পারবে এমন আশা না করাই ভালো। কাজেই ডায়েট এমন হবে যাতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে কিন্তু প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। স্বাভাবিক খাবার খান আর প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন। সবচেয়ে ভালো হয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলস সব পরিমাণ মতো থাকলে।

একটু বেশিক্ষণ বা ভারী এক্সারসাইজ করা যেমন সাইকেল চালানো, জগিং বা দৌড়নোর পর হাই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে পারেন। প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াও খুব জরুরি।