২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনিয়ম রুখতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহারের নিয়ম বদল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 9

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এর মাধ্যমে একটি পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুযোগ পান। সরকারের উদ্দেশ্য ভালো হলেও বেশ কিছু হাসপাতাল নিয়ম মানছে না। সেই অনিয়ম রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ভবনের।

 

রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়েছে দিয়েছে, যে ডাক্তার অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা করবেন ভরতি বা রোগীর ছুটি (ডিসচার্জ)র সময়, সেই ডাক্তারের সব তথ্য থাকতে হবে। অন্যথায় বকেয়া পেতে সমস্যা হবে। হাসপাতাল সরকারের কাছে যে বিল পাঠাবে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল না থাকলেও সমস্যা হবে।

 

এইসব সমস্যার জট খুলতে ‘ম্যান্ডেটরি সিগনেচার অফ ডক্টর ইন ব্লকিং অ্যান্ড ডিসচার্জ’  নামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতাল ও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দু’টি টিপিএ সংস্থাকেও নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের বক্তব্য, অস্ত্রোপচার করছেন জুনিয়র ডাক্তার। কিন্তু ডিসচার্জ বা ব্লকিংয়ে সই করছেন বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক। আবার রোগীর ছবি, সই থাকলেও ডাক্তারের স্বাক্ষর নেওয়া হয় না।

কিন্তু মেডিকো লিগ্যাল সমস্যা হলে আদতে কে অস্ত্রোপচার করেছে, তা জানা যাচ্ছে না। নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম ডাক্তারকে কম পারিশ্রমিকও দিতে পারবে না। স্বাস্থ্যসাথীর ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া হবে না। তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল। এবার থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর ছবি যেমন বাধ্যতামূলক তেমনি জরুরি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকতে হবে। না হলে হাসপাতালকে টাকা দেবে না স্বাস্থ্য ভবন। রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসা করছেন এক ডাক্তার বিল হচ্ছে অন্য ডাক্তারের নামে। এভাবেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বড়সড় বেনিয়ম ঘটছে।

আরও অভিযোগ,  কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডাক্তার লিখছেন এক প্যাকেজ, আর হাসপাতাল থেকে সরকারের কাছে যাচ্ছে আরেক প্যাকেজ। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে চিকিৎসা করছেন এক ডাক্তার, বিল হচ্ছে অন্য ডাক্তারের নামে। তাই নতুন নিয়ম চালু হবে। এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের চিকিৎসা খরচ সরকারের থেকে পেতে হলে হাসপাতালগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে রোগী কোন প্যাকেজের আওতায় পড়ছেন, সেই প্যাকেজ ব্লকিং স্লিপ এবং ডিসচার্জ স্লিপ আপলোড করতে হবে স্বাস্থ্য ভবনের পোর্টালে। রোগী যে ডাক্তারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই ডাক্তারকেই ছুটির স্লিপে সই-সাবুদ করতে হবে। অন্য ডাক্তারের সই থাকলে টাকা মিলবে না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অনিয়ম রুখতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহারের নিয়ম বদল

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এর মাধ্যমে একটি পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুযোগ পান। সরকারের উদ্দেশ্য ভালো হলেও বেশ কিছু হাসপাতাল নিয়ম মানছে না। সেই অনিয়ম রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ভবনের।

 

রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়েছে দিয়েছে, যে ডাক্তার অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা করবেন ভরতি বা রোগীর ছুটি (ডিসচার্জ)র সময়, সেই ডাক্তারের সব তথ্য থাকতে হবে। অন্যথায় বকেয়া পেতে সমস্যা হবে। হাসপাতাল সরকারের কাছে যে বিল পাঠাবে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল না থাকলেও সমস্যা হবে।

 

এইসব সমস্যার জট খুলতে ‘ম্যান্ডেটরি সিগনেচার অফ ডক্টর ইন ব্লকিং অ্যান্ড ডিসচার্জ’  নামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতাল ও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দু’টি টিপিএ সংস্থাকেও নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের বক্তব্য, অস্ত্রোপচার করছেন জুনিয়র ডাক্তার। কিন্তু ডিসচার্জ বা ব্লকিংয়ে সই করছেন বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক। আবার রোগীর ছবি, সই থাকলেও ডাক্তারের স্বাক্ষর নেওয়া হয় না।

কিন্তু মেডিকো লিগ্যাল সমস্যা হলে আদতে কে অস্ত্রোপচার করেছে, তা জানা যাচ্ছে না। নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম ডাক্তারকে কম পারিশ্রমিকও দিতে পারবে না। স্বাস্থ্যসাথীর ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া হবে না। তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল। এবার থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর ছবি যেমন বাধ্যতামূলক তেমনি জরুরি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকতে হবে। না হলে হাসপাতালকে টাকা দেবে না স্বাস্থ্য ভবন। রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসা করছেন এক ডাক্তার বিল হচ্ছে অন্য ডাক্তারের নামে। এভাবেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বড়সড় বেনিয়ম ঘটছে।

আরও অভিযোগ,  কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডাক্তার লিখছেন এক প্যাকেজ, আর হাসপাতাল থেকে সরকারের কাছে যাচ্ছে আরেক প্যাকেজ। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে চিকিৎসা করছেন এক ডাক্তার, বিল হচ্ছে অন্য ডাক্তারের নামে। তাই নতুন নিয়ম চালু হবে। এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের চিকিৎসা খরচ সরকারের থেকে পেতে হলে হাসপাতালগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে রোগী কোন প্যাকেজের আওতায় পড়ছেন, সেই প্যাকেজ ব্লকিং স্লিপ এবং ডিসচার্জ স্লিপ আপলোড করতে হবে স্বাস্থ্য ভবনের পোর্টালে। রোগী যে ডাক্তারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই ডাক্তারকেই ছুটির স্লিপে সই-সাবুদ করতে হবে। অন্য ডাক্তারের সই থাকলে টাকা মিলবে না।