১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ বছরের বসবাসেই জম্মুতে মিলবে ভোটাধিকার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
  • / 8

শ্রীনগর, ১২ অক্টোবর: ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করা হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। তারপর থেকে উপত্যকায় অশান্তি বেড়েছে। এরই মাঝে সেখানে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ চালানো হয়।

পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো বর্তমান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটাতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত।

এর পাশাপাশি ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পিছনেও রাজনৈতিক ও জনতাত্ত্বিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই।

জম্মুতে মাত্র এক বছরের বেশি বসবাস করলেই তাকে দেওয়া হবে ভোট দেওয়ার অধিকার। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক লাভাসা এই নির্দেশ জারি করেছেন।

তেহশিলদার, রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের প্রতি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ‘যোগ্য ভোটার’ যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে। সেটা নিশ্চিত করতে জম্মুতে কেউ এক বছরের বেশি সময় ধরে বাস করলেই তাকে রেসিডেন্স সার্টিফিকেট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন বসবাস করার প্রমাণ হিসেবে জল, বিদ্যুৎ বা গ্যাস সংযোগের সময়কে মাথায় রাখতে বলেছে। এর ফলে উপত্যকায় ব্যাপক হারে অমুসলিম ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে ওয়াকিফহাল মহলের আশঙ্কা। এর ফলে কাশ্মীরি মুসলিমরা সেখানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে বলে অনেকের মত।

১ বছরের বাসিন্দাদের ভোট দিতে দিলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। বিরোধী দলগুলি এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

তাদের বক্তব্য, বিজেপি নির্বাচন ভয় পায়। পরাজয়ের ভয়ে অন্য রাস্তায় হাঁটছে। তারপরও জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে বলে মত তাদের।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১ বছরের বসবাসেই জম্মুতে মিলবে ভোটাধিকার

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, বুধবার

শ্রীনগর, ১২ অক্টোবর: ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করা হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। তারপর থেকে উপত্যকায় অশান্তি বেড়েছে। এরই মাঝে সেখানে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ চালানো হয়।

পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো বর্তমান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটাতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত।

এর পাশাপাশি ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পিছনেও রাজনৈতিক ও জনতাত্ত্বিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই।

জম্মুতে মাত্র এক বছরের বেশি বসবাস করলেই তাকে দেওয়া হবে ভোট দেওয়ার অধিকার। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক লাভাসা এই নির্দেশ জারি করেছেন।

তেহশিলদার, রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের প্রতি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ‘যোগ্য ভোটার’ যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে। সেটা নিশ্চিত করতে জম্মুতে কেউ এক বছরের বেশি সময় ধরে বাস করলেই তাকে রেসিডেন্স সার্টিফিকেট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন বসবাস করার প্রমাণ হিসেবে জল, বিদ্যুৎ বা গ্যাস সংযোগের সময়কে মাথায় রাখতে বলেছে। এর ফলে উপত্যকায় ব্যাপক হারে অমুসলিম ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে ওয়াকিফহাল মহলের আশঙ্কা। এর ফলে কাশ্মীরি মুসলিমরা সেখানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে বলে অনেকের মত।

১ বছরের বাসিন্দাদের ভোট দিতে দিলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। বিরোধী দলগুলি এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

তাদের বক্তব্য, বিজেপি নির্বাচন ভয় পায়। পরাজয়ের ভয়ে অন্য রাস্তায় হাঁটছে। তারপরও জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে বলে মত তাদের।