সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীদের হাতিয়ার: জয়শঙ্কর

- আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
- / 10
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মানুষকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তো বটেই, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে এর অপব্যবহার সভ্যতাকে নানা ধরনের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদীরা বিশ্বকে নয়া বিপদের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। আর এ কাজে ‘টুলকিট’-এর মতো ব্যবহৃত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও। দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাউন্টার টেরোরিজম কমিটির বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণ এমন মন্তব্য উঠে এলো বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মুখে। এক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীরা সোশ্যাল মিডিয়া টুলকিট ব্যবহার করছে। এমনকী ‘লোন ওলফ’ অর্থাৎ একা একা যারা সন্ত্রাসবাদী কাজ করে, তারা নয়া প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তাদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। মুক্ত ও উদারমনাদের সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের প্রচারে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াই হয়ে উঠেছে তাদের অন্যতম হাতিয়ার। এর মাধ্যমে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে সমাজকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। কয়েকদিন আগেই মোদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তারপরেই বিদেশমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে বলতে শোনা গেল।
এ দিন তিনি পড়শি দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নাম না করেই তোপ দাগেন। শুক্রবার মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলা নিয়ে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছিলেন জয়শঙ্কর। শনিবার তিনি ফের পাকিস্তানের অর্থ ও মদদে সন্ত্রাসবাদী কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘকে আরও সদর্থকভাবে কাজ করতে হবে বলে তিনি আহ্বান জানান। প্রয়োজন হলে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান দেওয়া রাষ্ট্রগুলির উপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ চাপানোর কথাও বলেন তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে বলার সময়ে তিনিই একবারও ‘পাকিস্তান’ নামটি উচ্চারণ করেননি। তবে তার তোপের নিশানা যে প্রতিবেশী দেশ, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ চলছে। সেই মোকাবিলায় ইউএন ট্রাস্ট ফান্ডে ভারত ৫ লক্ষ ডলার অর্থসাহায্য করছে বলে তিনি এ দিন জানান। রাষ্ট্রসংঘের এই সভায় ‘দিল্লি ডিক্লারেশন’-এর প্রস্তাব আনা হবে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদীরা যেভাবে বিশ্বের সামনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার মোকাবিলা করতেই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হাজির থাকা দেশগুলি এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে।