২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগের রাজ্যপালের সঙ্গে বনিবনা ছিল বিজেপির, নতুন রাজ্যপাল কেমন হবেন? নদিয়ায়  জানালেন দিলীপ ঘোষ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 7

পুবের কলম প্রতিবেদক ,নদিয়া: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিজেপির অতি সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। প্রায়ই তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিদ্ধ করতে টুইটে। যা নিয়ে বিব্রত হতে হত রাজ্য সরকারকে। বর্তমানে তিনি এখন দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি। তাঁর পরিবর্তে অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্বে এসেছিলেন লা গনেশন। দেখা গিয়েছিল, রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপির একেবারেই সুসম্পর্ক ছিল না। এবার অবশ্য রাজ্যে স্থায়ী রাজ্যপাল এসেছিলেন।

 

তিনি হলেন ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস। অবসর প্রাপ্ত এই আই এ এস আধিকারিক বর্তমানে মেঘালয় সরকারে উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। জগদীপ ধনখড়ের সময়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হতেই তাঁর জায়গায় অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্বে আসেন লা গণেশন। ধনখড়ের উত্তরসূরির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ মধুর। এখন নতুন রাজ্যপাল এলে ধনখড়ের সময়ের সংঘাত ফিরবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

 

নদিয়ার কল্যাণীতে চা চক্রে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লা গনেশনের ব্যাপারে বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘উনি অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন। উনিও জানতেন চলে যাবেন। আমরা জানতাম চলে যাবেন। উনি চলেও গিয়েছে। যিনি এসেছেন খুব যোগ্য। দূরদর্শী ব্যক্তিকে রাজ্যপাল করা হয়েছে। উনি যখন কেরলে ছিলেন চিফ সেক্রেটারি ছিলেন। এখন যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলছে, তার অনেকগুলিই ওনার পরিকল্পনা। উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে। ২০১৪ থেকে প্ল্যানিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য উনি এখানে এসেছেন। এখানকার সরকার যদি চায় তাহলে তাঁর সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এখানের উন্নয়ন করতে পারে। ওরা যদি ঝগড়া করতে চায় তাহলে হিতে বিপরীত হবে।’’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগের রাজ্যপালের সঙ্গে বনিবনা ছিল বিজেপির, নতুন রাজ্যপাল কেমন হবেন? নদিয়ায়  জানালেন দিলীপ ঘোষ

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক ,নদিয়া: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিজেপির অতি সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। প্রায়ই তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিদ্ধ করতে টুইটে। যা নিয়ে বিব্রত হতে হত রাজ্য সরকারকে। বর্তমানে তিনি এখন দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি। তাঁর পরিবর্তে অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্বে এসেছিলেন লা গনেশন। দেখা গিয়েছিল, রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপির একেবারেই সুসম্পর্ক ছিল না। এবার অবশ্য রাজ্যে স্থায়ী রাজ্যপাল এসেছিলেন।

 

তিনি হলেন ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস। অবসর প্রাপ্ত এই আই এ এস আধিকারিক বর্তমানে মেঘালয় সরকারে উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। জগদীপ ধনখড়ের সময়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হতেই তাঁর জায়গায় অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্বে আসেন লা গণেশন। ধনখড়ের উত্তরসূরির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ মধুর। এখন নতুন রাজ্যপাল এলে ধনখড়ের সময়ের সংঘাত ফিরবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

 

নদিয়ার কল্যাণীতে চা চক্রে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লা গনেশনের ব্যাপারে বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘উনি অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন। উনিও জানতেন চলে যাবেন। আমরা জানতাম চলে যাবেন। উনি চলেও গিয়েছে। যিনি এসেছেন খুব যোগ্য। দূরদর্শী ব্যক্তিকে রাজ্যপাল করা হয়েছে। উনি যখন কেরলে ছিলেন চিফ সেক্রেটারি ছিলেন। এখন যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলছে, তার অনেকগুলিই ওনার পরিকল্পনা। উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে। ২০১৪ থেকে প্ল্যানিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য উনি এখানে এসেছেন। এখানকার সরকার যদি চায় তাহলে তাঁর সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এখানের উন্নয়ন করতে পারে। ওরা যদি ঝগড়া করতে চায় তাহলে হিতে বিপরীত হবে।’’