ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬২

- আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 8
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো কমপক্ষে ১৬২। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে বলেই খবর। এখনও পর্যন্তও প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই খবর। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছে বহু মানুষ। অসংখ্য বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বেশ কিছু অঞ্চলে ধস নেমেছে। বিদ্যৎহীন বহু এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালগুলিও। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা চলছে খোলা আকাশের নীচে।মৃতের ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন।
উল্লেখ্য,সোমবার ভয়াবহ ভুমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। রাজধানী জাকার্তাতেও কম্পনের তীব্রতা অনুভূত হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানায়, জাকার্তার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২১ মিনিটে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়াঞ্জুর জেলার ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। যদিও এ ভূমিকম্প থেকে সুনামির আশঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
সোমবারের আগে সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলীয় শহর বেঙ্কুলুকু থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে এই অঞ্চলজুড়ে ২ লক্ষ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। ২০২১-এ সুলাওসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে ৪,৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।