১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশ সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া, আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 16

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য সচিত্ন-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠক হয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যু, বিএসএফ-সহ একাধিক প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয় বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যকে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে বলল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদিকে এই আর্জি জানান। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে এই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছে। ২৫৭ কিলোমিটার জুড়ে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে ১৮৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জমি মিললেও ৭০ কিলোমিটারের কাজে এগচ্ছে না জমি না পাওয়ায় জন্য। রাজ্যকে এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়েই এই বৈঠক। ভারত-বাংলাদেশ সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হোক, তার উপরও কেন্দ্রের তরফে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আগামী মার্চের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজটি শেষ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, সীমান্তে চোরা চালান, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি রুখতে বি এস এফ-এর ভূমিকা ও দায় দ্বায়িত্বের বিষয়েও মত বিনিময় হয়। উল্লেখ্য, শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হতে চলেছে রাজ্যে। নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা। তার আগেই এদিনের বৈঠকে কাঁটাতারের বেড়ার কাজে জমি সংক্রান্ত বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, আগামী শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হতে চলেছে রাজ্যে। তার আগে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কয়েক দফার নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর। মনে করা হচ্ছে, সোমবারের বৈঠকেই সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক এবার এ রাজ্যেই হচ্ছে।

 

সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৭ ডিসেম্বর বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে।

আন্তঃরাজ্য সীমান্ত নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্দেশীয় সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। মূলত ৫ নভেম্বর এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল নবান্ন সভাঘরে। কিন্তু সেই বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। এবারে সেই বৈঠকের সময়সীমা ১৭ ডিসেম্বর হিসেবেই ঠিক করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই বৈঠকে এ’রাজ্যের পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, সিকিমের মতো রাজ্যগুলো-ও উপস্থিত থাকবে। তবে এ’রাজ্যে এই ধরনের হাইপ্রোফাইল বৈঠক নতুন নয়, এর আগেও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে কলকাতাতে সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটির কাউন্সিলের বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্য হিসেবেই ধরছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারত-বাংলাদেশ সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া, আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠক

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য সচিত্ন-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠক হয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যু, বিএসএফ-সহ একাধিক প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয় বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যকে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে বলল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদিকে এই আর্জি জানান। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে এই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছে। ২৫৭ কিলোমিটার জুড়ে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে ১৮৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জমি মিললেও ৭০ কিলোমিটারের কাজে এগচ্ছে না জমি না পাওয়ায় জন্য। রাজ্যকে এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়েই এই বৈঠক। ভারত-বাংলাদেশ সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হোক, তার উপরও কেন্দ্রের তরফে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আগামী মার্চের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজটি শেষ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, সীমান্তে চোরা চালান, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি রুখতে বি এস এফ-এর ভূমিকা ও দায় দ্বায়িত্বের বিষয়েও মত বিনিময় হয়। উল্লেখ্য, শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হতে চলেছে রাজ্যে। নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা। তার আগেই এদিনের বৈঠকে কাঁটাতারের বেড়ার কাজে জমি সংক্রান্ত বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, আগামী শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হতে চলেছে রাজ্যে। তার আগে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কয়েক দফার নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর। মনে করা হচ্ছে, সোমবারের বৈঠকেই সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক এবার এ রাজ্যেই হচ্ছে।

 

সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৭ ডিসেম্বর বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে।

আন্তঃরাজ্য সীমান্ত নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্দেশীয় সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। মূলত ৫ নভেম্বর এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল নবান্ন সভাঘরে। কিন্তু সেই বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। এবারে সেই বৈঠকের সময়সীমা ১৭ ডিসেম্বর হিসেবেই ঠিক করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই বৈঠকে এ’রাজ্যের পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, সিকিমের মতো রাজ্যগুলো-ও উপস্থিত থাকবে। তবে এ’রাজ্যে এই ধরনের হাইপ্রোফাইল বৈঠক নতুন নয়, এর আগেও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে কলকাতাতে সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটির কাউন্সিলের বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্য হিসেবেই ধরছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।