মুসলিম তরুণীদের ধর্মান্তরিত করতে প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে: মাদানি

- আপডেট : ১১ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার
- / 6
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোভ দেখিয়ে মুসলিম মেয়েদের স্বধর্ম ত্যাগ করানোর এক বিপজ্জনক অভিযান শুরু হয়েছে দেশে বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে বিশিষ্ট মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ।
সোমবার সংগঠনের কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে মন্তব্য করতে গিয়ে জমিয়তের প্রেসিডেন্ট মাওলানা আরশাদ মাদানি এর দায় চাপান স্কুল কলেজগুলিতে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনার উপর। অর্থাৎ কো-এডুকেশন প্রথাই সমস্ত নষ্টের মূলে রয়েছে। মাদানি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন আরও মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। তিনি আরও বলেন, মুসলিম মেয়েদের স্বধর্ম ত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এটা ভবিষ্যতের জন্য বড় বিপদের সংকেত। সুচিন্তিত ভাবে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে যেখানে এবার মুসলিম মেয়েদের নিশানা করা হচ্ছে। যদি এখনই এর বিরুদ্ধে আমরা সজাগ না হই এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করি তাহলে ভবিষ্যত পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।
মাদানি আরও বলেন, কো-এডুকেশনের বিরুদ্ধে আমি অতীতে আমার মত জাহির করেছিলাম। তখন আমাকে বলা হয় আমি নাকি মেয়েদের শিক্ষার বিরোধী। আমরা মেয়েদের শিক্ষার বিরোধী নই। যা করার আমাদের এখনই করতে হবে। স্বাধীনতার পর আমরা এখন খুবই জটিল সময়ে বাস করছি।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে বহু সমস্যা রয়েছে আমাদের সামনে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং শিক্ষার উন্নয়নের পথ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যদি এই নীরব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করতে হয় তাহলে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে হবে। আমাদের ছেলে এবং মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র
স্কুল কলেজ গড়ে তুলতে হবে।
মাওলানা মাদানি বলেন, প্রত্যেক যুগে রাষ্ট্রের উন্নতি জড়িয়ে রয়েছে শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে। ইতিহাসও তাই বলে। তাই আমাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে হবে। আমাদের মধ্যে হীনমন্যতা ত্যাগ করে আমাদের দুষ্প্রচারে জবাব দিতে হবে। বর্তমানে দেশের সংবিধান বাতিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িকদলগুলি। তারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, তারা ধর্মনিরপেক্ষতা সইতে পারে না। তিনি বলেন, দেশে যদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হয় তাহলে বুঝতে হবে দেশের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে না।
দেশে বেকারির সমস্যা রয়েছে, আর্থিক সমস্যা রয়েছে কিন্তু সে সবের দিকে নজর না দিয়ে মানুষকে ধর্মেরভিত্তিতে বিভাজন করা হচ্ছে, ঘৃণার বিষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের যুবকরা যদি শিক্ষা শেষে চাকরি না পায় তাহলে তারা প্রতিবাদে অবশ্যই পথে নামবে। তিনি বলেন, পুর্নবাসনের সুবিধা না দিয়ে অসম, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড থেকে মুসলিমদের উৎখাত করার অভিযান চলছে। দেশের ন্যায়পরায়ণ শান্তিপ্রিয় মানুষ অবশ্যই এসবের প্রতিবাদ জানাবেন। দেশে সৌভ্রাতৃত্ব ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন মাওলানা মাদানি।