২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া থেকে উধাও ২.৫ টন ইউরেনিয়াম

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 6

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ লিবিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম উধাও হয়ে গেছে। হদিশ না মেলা এই ইউরেনিয়ামের  আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ২.৫ টন।  আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সংস্থার সদস্য দেশগুলোকে বলেছেন, লিবিয়ার একটি স্থানে রাখা ১০ ড্রাম ঘনীভূত ইউরেনিয়াম আকরিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই স্থানের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য উল্লেখ না করে সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেখান থেকে পরমাণু উপকরণ সরিয়ে ফেলার বিষয় খোলসা করতে এবং এগুলোর বর্তমান অবস্থান জানতে ‘আইএইএ’ আরও কার্যক্রম পরিচালনা করবে। লিবিয়ায় দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রাক্তন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনামলে ২০০৩ সালে দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি পরিত্যাগ করে। ২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। মূলত গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই উত্তর আফ্রিকার দেশটি চরম রাজনৈতিক সংকটের মুখে পড়ে। আর সেই সংকট এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেই সংকটের জেরে লিবিয়া এখনও বিভক্ত। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজধানী ত্রিপোলিতে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত অন্তর্র্বতী সরকার এবং পূর্বে ইসরাইল সমর্থিত বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতার সমর্থিত আরেকটি সরকার টিকে রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লিবিয়া থেকে উধাও ২.৫ টন ইউরেনিয়াম

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ লিবিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম উধাও হয়ে গেছে। হদিশ না মেলা এই ইউরেনিয়ামের  আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ২.৫ টন।  আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সংস্থার সদস্য দেশগুলোকে বলেছেন, লিবিয়ার একটি স্থানে রাখা ১০ ড্রাম ঘনীভূত ইউরেনিয়াম আকরিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই স্থানের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য উল্লেখ না করে সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেখান থেকে পরমাণু উপকরণ সরিয়ে ফেলার বিষয় খোলসা করতে এবং এগুলোর বর্তমান অবস্থান জানতে ‘আইএইএ’ আরও কার্যক্রম পরিচালনা করবে। লিবিয়ায় দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রাক্তন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনামলে ২০০৩ সালে দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি পরিত্যাগ করে। ২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। মূলত গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই উত্তর আফ্রিকার দেশটি চরম রাজনৈতিক সংকটের মুখে পড়ে। আর সেই সংকট এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেই সংকটের জেরে লিবিয়া এখনও বিভক্ত। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজধানী ত্রিপোলিতে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত অন্তর্র্বতী সরকার এবং পূর্বে ইসরাইল সমর্থিত বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতার সমর্থিত আরেকটি সরকার টিকে রয়েছে।