১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Breaking: SSKM-এ এলেন মুখ্যমন্ত্রী, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হতে পারে বৃহস্পতিবারই

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 8

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মমতার পায়ে অস্ত্রোপচার হতে পারে বৃহস্পতিবারই,  SSkM-এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  অস্ত্রোপচারের পরে দিন দুই-তিনেক হাসপাতালে রাখা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে। তার পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে, নিয়ম মেনে করতে হবে কিছু ব্যায়ামও। অপারেশনের পরে ৮-১০দিন তাঁকে বাড়িতেই থাকতে হবে। তারপরে তিনি আবার বার হতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, অপারেশন হবে, তবে তা হাঁটু প্রতিস্থাপন নয়।  প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে এই ছোটখাটো একটি অপারেশন।

এখন নিত্যদিন তাঁর ৪ ঘণ্টা করে থেরাপি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছি।   তবে হাঁটুতে খুব লেগেছে। একটা মাইনর ওটি আছে। ৮-১০ দিন সময় লাগবে। তারপর বের হতে পারব।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর ছিল,  ফিজিয়োথেরাপিতে কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ার পরেই হাঁটুতে জল জমা ও লিগামেন্টের চোটের সমস্যা দূর করতে অস্ত্রোপচার (প্রসিডিওর) করার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রীও সেই প্রক্রিয়া করাতে রাজি হন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ি থেকে প্রচার সেরে ফেরার পথে আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য বিপদ বুঝে মুখ্যমন্ত্রীর চপারের জরুরি অবতরণ করানো হয়। তাঁর বাঁ পা ও কোমরে চোট লাগে। সে দিনই তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেএমে আনা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষার করেন। পরে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও  রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক এবং রেডিয়োলজির প্রধান চিকিৎসক অর্চনা সিংহের তত্ত্বাবধানে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু হয়। এমআরআই-এ দেখা যায়, বাঁ হাঁটুর লিগামেন্ট এবং হিপজয়েন্টের লিগামেন্টে চোট রয়েছে। বাঁ হাঁটুতে জল জমার চিহ্নও রয়েছে।  কিন্তু সে দিন চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিলেও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রণে রেখে বাড়িতেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্রামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এর পর থেকে বাড়িতে নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীর ফিজ়িয়োথেরাপি শুরু হয়। প্রতি দিন চার  ঘণ্টা করে চলছে ওই থেরাপি। এসএসকেএম থেকে ফিজিয়োথেরাপিস্ট প্রতি দিন তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে সেই থেরাপি দেন। চিকিৎসকেরাও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।

এর আগে একুশে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে পায়ে বড়সড় চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার বাম পায়ের হাড়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করে প্লাস্টার করতে হয় পায়ে। সেই প্লাস্টার করা পা নিয়েই হুইল চেয়ারে করে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Breaking: SSKM-এ এলেন মুখ্যমন্ত্রী, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হতে পারে বৃহস্পতিবারই

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মমতার পায়ে অস্ত্রোপচার হতে পারে বৃহস্পতিবারই,  SSkM-এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  অস্ত্রোপচারের পরে দিন দুই-তিনেক হাসপাতালে রাখা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে। তার পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে, নিয়ম মেনে করতে হবে কিছু ব্যায়ামও। অপারেশনের পরে ৮-১০দিন তাঁকে বাড়িতেই থাকতে হবে। তারপরে তিনি আবার বার হতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, অপারেশন হবে, তবে তা হাঁটু প্রতিস্থাপন নয়।  প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে এই ছোটখাটো একটি অপারেশন।

এখন নিত্যদিন তাঁর ৪ ঘণ্টা করে থেরাপি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছি।   তবে হাঁটুতে খুব লেগেছে। একটা মাইনর ওটি আছে। ৮-১০ দিন সময় লাগবে। তারপর বের হতে পারব।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর ছিল,  ফিজিয়োথেরাপিতে কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ার পরেই হাঁটুতে জল জমা ও লিগামেন্টের চোটের সমস্যা দূর করতে অস্ত্রোপচার (প্রসিডিওর) করার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রীও সেই প্রক্রিয়া করাতে রাজি হন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ি থেকে প্রচার সেরে ফেরার পথে আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য বিপদ বুঝে মুখ্যমন্ত্রীর চপারের জরুরি অবতরণ করানো হয়। তাঁর বাঁ পা ও কোমরে চোট লাগে। সে দিনই তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেএমে আনা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষার করেন। পরে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও  রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক এবং রেডিয়োলজির প্রধান চিকিৎসক অর্চনা সিংহের তত্ত্বাবধানে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু হয়। এমআরআই-এ দেখা যায়, বাঁ হাঁটুর লিগামেন্ট এবং হিপজয়েন্টের লিগামেন্টে চোট রয়েছে। বাঁ হাঁটুতে জল জমার চিহ্নও রয়েছে।  কিন্তু সে দিন চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিলেও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রণে রেখে বাড়িতেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্রামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এর পর থেকে বাড়িতে নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীর ফিজ়িয়োথেরাপি শুরু হয়। প্রতি দিন চার  ঘণ্টা করে চলছে ওই থেরাপি। এসএসকেএম থেকে ফিজিয়োথেরাপিস্ট প্রতি দিন তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে সেই থেরাপি দেন। চিকিৎসকেরাও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।

এর আগে একুশে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে পায়ে বড়সড় চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার বাম পায়ের হাড়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করে প্লাস্টার করতে হয় পায়ে। সেই প্লাস্টার করা পা নিয়েই হুইল চেয়ারে করে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি।