মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি চাই মূল্যবোধের শিক্ষাও: ইমরান

- আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার
- / 10

অনুষ্ঠানে রাজ্যের মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান, মিশনের অন্যতম পরিচালক হারুন -উর-রসিদ সহ বিশিষ্টজনেরা।
সুবিদ আবদুল্লাহ্: ’আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবোধের শিক্ষাও নিতে হবে। এই শিক্ষার কাজে মায়েদের ভূমিকা থাকবে বেশি।’ বহরমপুরে আল ফালাহ মিশনের পঁচিশ বছর পুর্তি অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন, পশ্চিম বঙ্গ মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও পুবের কলম দৈনিকের সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়ার মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক মা চান তাদের সন্তানরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। কিন্তু মায়েদের উচিৎ সেই স্কুলে বাচ্চাদের পাঠানো যেখানে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ঈমানী শিক্ষাও দেওয়া হয়। আল ফালাহ মিশন পঁচিশ বছর ধরে সেই শিক্ষা দিয়ে চলেছে। আপনারা আপনার সন্তানকে এই মিশনে ভর্তি করান। মিশনের ভালো কাজগুলোকে সমর্থন করুন। আমাদের মনে রাখতে হবে, মৃত্যুর পরেও আমাদের একটা জীবন আছে। আপনার সন্তান আধুনিক শিক্ষা নিক। কিন্তু সে যেন কোরান বোধ থেকে সরে না যায়। আল ফালাহ্ মিশন পড়ুয়াদের মধ্যে সেই চেতনাবোধ তৈরি করে দিচ্ছে। মিশন আধুনিক শিক্ষা দ্বীনি শিক্ষার বিশ্বস্ত পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে মায়েদের উপস্থিতি ছিল বেশি।
বক্তব্য শেষে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিচালক হারুন-উর-রসিদ জানান, মিশনের জন্মলগ্ন থেকে ইমরান ভাই মিশনের সঙ্গে আছেন। অনেক কাজে আমরা ওনার পরামর্শ নিই। মিশনের পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এদিন বহরমপুর শিল্প তালুকের স্পাইস গার্ডেন সভাঘরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল দশটার মধ্যে সভাকক্ষ ভরে যায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে।
নির্ধারিত সময়ে ছাত্রীদের কণ্ঠে আল্লামা ইকবালের লেখা সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা হয়। এদিনের সভার প্রধান বক্তা ছিলেন আহমদ হাসান ইমরান।
মঞ্চে অন্যতম অতিথি মধ্যে ছিলেন, সমাজসেবি এসএমএইচ কাদরি। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানান, আল ফালাহ্ মিশন পঁচিশ বছরে যে সব মেধার জন্ম দিয়েছে আগামীতে তারাই হবে সমাজের সম্পদ।
এদিনের প্রধান সমাজকর্মী আমির ইদ্রিশী জানান, যে স্বপ্ন নিয়ে আল ফালাহ মিশন পথচলা শুরু করেছিল আজ তার সফল রূপ দেখতে পাচ্ছি আমরা। মিশনের সূচনালগ্নের সময় থেকে যাঁরা আছেন তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুমতাজ রসিদ, একরামুল হক, আইজুদ্দিন মণ্ডল প্রমুখ।
এদিন বক্তব্যের পাশাপাশি পড়ুয়ারা যে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে তা পুরো সভার মান বাড়িয়েছে।
শিক্ষিকা ঈশিতা সেনগুপ্তের দক্ষ পরিচালনায় ছাত্রছাত্রীরা রবীন্দ্র সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে। এর সঙ্গে মিশনের পড়ুয়াদের ইসলামী সংগীত, নাত ও গজল পরিবেষণা সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে সমৃদ্ধ করে তোলে।