ফৈজান আহমেদের রহস্য মৃত্যুর তদন্তে সিটের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

- আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার
- / 5
পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠে আইআইটি খড়গপুরের ছাত্র মৃত্যুর রহস্য মৃত্যু মামলা। এই ঘটনায় পুলিশ কর্তা জয়রামণের নেতৃত্বে গঠিত সিটের রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানিতে সিটকে এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
বিশেষ করে চলতি বছর ১০ জুলাই থকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে কি তদন্ত হয়েছে? তা রিপোর্টে স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। সেই বিষয়ে জানাতে হবে আগামী শুনানিতে। এখনও কাউকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করতে পুলিশ পেরেছে কি না? তাও জানাতে হবে আগামী শুনানিতে। আইআইটি খড়গপুর এই মামলার গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলেছে। তাতে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘এতদিন ধরে একটা খুনের তদন্তে অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে। এর দায় কে নেবে! আইআইটি কেন আপত্তি করছে তাও অজানা’।
এর আগে এই মামলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি, খড়গপুর টাউন থানার ওসিকে কেস ডায়রি পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গতবছর ১৪ অক্টোবর, খড়গপুর আইআইটি’র হস্টেল থেকে তৃতীয় বর্ষের এক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ফৈজান আহমেদ নামে পড়ুয়ার পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়। আসামের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ফৈজান, বি.টেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। এই ঘটনায় সিট-এর তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানিতে সিটকে এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সিএফএসএল-এর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হাইকোর্টের গঠিত নতুন সিট কী তদন্ত করল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। তদন্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “এত ধীরগতিতে যদি তদন্ত চলতে থাকে, তাহলে তদন্ত কবে শেষ হবে, তাও স্পষ্ট হচ্ছে না।”
এদিন সিটের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, বেশ কিছু সন্দেহভাজন ছাত্রের নাম আইআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন না করে জানায় যে এখন ছাত্রদের পরীক্ষা চলছে, তাই তাদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। শীঘ্রই সিট সমস্ত সন্দেহভাজন ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছে আদালতের কাছে। সিট-এর কাছে মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছিলেন বিচারপতি। কেস ডায়েরি দেখে হতাশা প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালতের বক্তব্য, তিন মাস কেটে গিয়েছে সিট কিছুই তদন্ত করেনি। আগামী ১৮ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ওইদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।